নিজস্ব প্রতিবেদক : মিথ্যা,ভিত্তীহীন,বানোয়াট মামলায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর দলীয় নেতা-কর্মীদের আটকের প্রতিকার ও অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের আবেদন করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে লিখিত আবেদনে দুই ওসি প্রত্যাহার দাবি করেন, বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী বুলবুল ।
দুই ওসি হলো, বোয়ালিয়া থানার ওসি আমানুল্লাহ ও কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি রবিউল ইসলাম। লিখিত আবেদনে তপু বলেন, আগামী জুলাই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ধানের শীষের মেয়র প্রার্থীর প্রধান এজেন্ট।
আসন্ন রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রচারণায় যখন এলাকায় জনগণ শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন, ঠিক সেই সময় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তার সহযোগী পুলিশ অফিসার কাশিয়াডাঙ্গা থানার মামলা নং-১০, তারিখ ০৮/০৭/২০১৮ ইং, ধারা- ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি বহনে ৩ (১)/৪ ধারায় বিএনপি(১নং) নেতা মোঃ নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু, পিতাঃ মৃত আব্দুল হামিদ, মাতাঃ মোসাঃ বেদেনা, গ্রামঃ পূর্ব রায়পাড়া(২নং) মোঃ আমিনুল ইসলাম, পিতাঃ মোঃ হারুনার রশিদ, মাতাঃ মোসাঃ মাবিয়া বেগম, গ্রামঃ হড়গ্রাম, উভয় থানাঃ কাশিয়াডাঙ্গা, মহানগর রাজশাহী দ্বয়কে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় আদালতে প্রেরন করে এবং একইভাবে ঐ বিএনপি নেতা দ্বয়কে ছাড়াও বোয়ালিয়া থানার মামলা নং-২৭, তারিখ ০৯/০৭/২০১৮ ইং ধারা ১৪৩/৩৪১
/৩২৩/৩০৭/৩৪ নং এবং বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩ ধারা মতে মোঃ শফিকুল ইসলাম, পিতাঃ মৃত কেতাব উদ্দিন, সাং- ষষ্টিতলা (নিউ মার্কেটের দক্ষিণে) থানাঃ বোয়ালিয়া, রাজশাহী মহানগর-কে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে চালান করেন। বিএনপির আরও নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা ও সন্ত্রাসীরা বিএনপির পক্ষে ভোট না করার জন্য হুমকি দিচ্ছে। কাশিয়াডাঙ্গা থানার মামলা নং- ১০, তারিখ ০৭/০৮/২০১৮ ইং, ধারা ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩(এ)/৪ ধারার এজাহারে উল্লেখ করেছে,তারিখ ০৭/০৮/২০১৮ ইং অনুমানিক সাড়ে তিনটার সময় কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন চার খুঠার মোড়ের উত্তরে মাঠের মধ্যে প্রায় দেড় শতাধিক নামকরা দুষ্কৃতীকারীরা অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য জমায়েত হয়েছে। পুলিশ উপস্থিত হওয়ার পর পুলিশের গাড়ী লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটায় যাহা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, সাজানো ও বানানো মামলা।
একই ভাবে বোয়ালিয়া থানার মামলা নং-২৭, তারিখ-০৯/০৭/২১৮, ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩০৭/৩৪ ধারা এবং বিষ্ফোরক দ্রব্যাদি ও ৩ ধারায় ঘটনাস্থল ষষ্টিতলার থিম ওমর প্লাজার সামনে হতে লাঠি, দেশীয় অস্ত্র, ককটেল ব্যবহার করে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট। বিএনপিকে দূর্বল করার একটি সম্পূর্ন অপ-প্রয়াস। মামলা দুইটি এজাহার ছায়া লিপিবদ্ধ। উক্ত ঐ মামলা দুইটি সম্পূর্ণ সাজানো, মিথ্যা, বানোয়াট ও বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করে সন্ত্রাসী কায়দায় আগামী ৩০/০৭/২০১৮ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জোরপূর্বক আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য অতি উৎসাহী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোয়ালিয়া থানা ও
কাশিয়াডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামলা দুইটি মিথ্যাভাবে সৃষ্টি করে বিএনপি’র সমস্ত নেতাকর্মী সমর্থকদের খুঁজে বেড়াচ্ছে ও অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে। গত ১০/০৭/২০১৮ সমগ্র রাজশাহী মহানগরে লক্ষ লক্ষ পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে টানানো হয়েছে। অথচ বিএনপি’র প্রাথীর পোস্টার টানাতে বাধা প্রদান করছে। এমতাবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন আমাদের ও জনগণের নিকট স্পষ্টভাবে ফুটে উঠছে। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। উল্লেখ্য বোয়ালিয়া ও কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জকে প্রত্যাহার করতে হবে।
মামলা দুইটির ঘটনাস্থল নিরিক্ষা ও পরিদর্শন করলে বা জুডিশিয়াল তদন্ত করলে মিথ্যা প্রমান হবে। কারণ এজাহারে উল্লেখ্য ঘটনা ঘটে নাই। শুধুমাত্র বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঘর ছাড়া ও গ্রেফতার করে মাঠ ফাঁকা করে আগামী সিটি নির্বাচনে জোরপূর্বক গাজীপুর ও খুলনা সিটির মত নির্বাচিত হওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এর দ্রুত সমাধান করে নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্টি করতে অনুরোধ করছি। ইতিমধ্যে হাইকোর্ট ও নির্বাচন কমিশন বিনা ওয়ারেন্টে হয়রানী ও গ্রেফতার না করার জন্য বক্তব্য ও নির্দেশনা দিয়েছেন। উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনপূর্বক সুষ্ঠ নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করার আবেদন জানানো হয়।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে