রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বেসরকারী নিম্নমাণের ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসীর নারীসহ ১০ জন দালালকে আটক করেছে র্যাব-৫। আটককৃতরা সবাই চিহ্নিত দালাল। এরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিকাবার আটক হয়েছে। শতকরা ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে দালালি করে। আটককৃতরা হলেন, হাদিউল ইসলাম, নাইম হোসেন, হুমায়ুন, মোতাসিন, ডলার, সেলিম, সাজ্জান, মুসলিমা, রোকেয়া ও পলি। আটকৃতদের বাড়ি রাজশাহী মহানগরের বিভিন্ন থানা এলাকায়।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত র্যাব-৫ রাজশাহীর একটি দল রামেক হাসপাতালের বহির্বিভাগে অভিযান চালিয়ে নারীসহ ১০ জন দালালকে আটক করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার কাওসার হামিদ ও সানিয়া বিনতে আবজালের নেতৃত্বে পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। নারীসহ ১০ দালালকে আটকের পরে বিভিন্ন মেয়াদে (৫ থেকে ১৫ দিন) বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এরমধ্যে নগরের রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার স্বপনের ছেলে মাসুদ পারভেজ ডলার ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, একই এলাকার রফিকুলের ছেলে মোতাসিনকে ১৫ দিন, নগরের লক্ষীপুর ভাটাপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে নাঈম হোসেন হুমায়নকে ১৫ দিন, বহরমপুর এলাকার মৃত ওহাব আলীর ছেলে সেলিমকে ১৫ দিন, দাসপুকুর এলাকার দ্বীন মোহাম্মাদের ছেলে হাদিউল ইসলা কে ৭ দিন, মিঠুর মোড় এলাকার মৃত ইব্রাহিমের ছেলে সাজ্জানকে ১৫ দিন, হেতমখাঁন এলাকার মৃত বজউদ্দীনের ছেলে হুমায়ুন কবির ১০ দিন, ৮ নং ওয়ার্ডের মুকুলের স্ত্রী মুসলিমকে ১৫ দিন, রোকেয়াকে ৫ দিন ও নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানা এলাকার আব্দুল মালেকের স্ত্রী পলিকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
র্যাব জানায়, দণ্ডপ্রাপ্তরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে নিয়ে যেতেন। এতে রোগীরা প্রতারিত হতেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের কারাদণ্ড দেয়া হয়। উল্লেখ্য, রামেক হাসপাতালকে কেন্দ্র করে লক্ষীপুর মোড়ের আশেপাশে অসংখ্য নিম্নমাণের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বাইরে দ্রুত ও ভালো চিকিৎসার নাম করে বাইরের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে দালালরা বেশি অর্থ আদায় করে।
এস/আর