নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৮৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত নারীসহ তিনজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। গত আগস্ট মাস থেকে দেশজুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বাড়ার সময় রাজশাহীতেও এর প্রভাব পড়ে। প্রতিদিনই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। তবে পূর্বের তুলনায় এর সংখ্যা কমে গেছে। গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ২ জন রোগী ভর্তি হয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬ জন। ৮৩৭ জনের মধ্যে চিকিৎসা শেষে
বাড়ি ফিরে গেছেন ৮১৮ জন। রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ার সাথে সাথে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। প্রায় ১ মাস ধরে প্রতিদিনই ১৫ থেকে ২৫ জন রোগী ওই সময় ভর্তি হয়। রোগী বাড়ার কারণে হাসপাতালে পৃথক একটি ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়। ডেঙ্গু কর্নারেও রোগীর বেড দেওয়া সম্ভব না হলে তাদের হাসপাতালের অন্যান্য মেডিসিন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অনেকে মেঝেতে শুয়েও চিকিৎসা নেয়। পূর্বের তুলনায় বর্তমানে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে যায়। পবিত্র ঈদুল আযহার দিন রামেক হাসপাতালে
আব্দুল মালেক নামের এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। এরপরে রওশনআরা ও শাপলা বেগম নামের আরো দু’জন রোগীর মৃত্যু হয়। কিছুদিন পর থেকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে। বর্তমানে প্রতিদিন ২/৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। এখন আগের মতো আর চাপ নেই। এ পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ৮৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়। চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন ৮১৮ জন। বর্তমানে ১৬ জন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে কম রোগী ভর্তি হচ্ছে। পূর্বের তুলনায়
রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে গেছে। এখন রোগীর চাপ নেই। এ পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ৮৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়। চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন ৮১৮ জন। বর্তমানে ১৬ জন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আর/এস