নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ৬৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬১ জন। এরমধ্যে গতকাল শনিবার দু’জন রোগী চিকিৎসা শেষে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে নতুন ১৩ জন রোগী ভর্তি হন। প্রতিদিনই রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এতে বেড সংকটের মধ্যে পড়েছেন। অনেক রোগী রামেক হাসপাতালের অন্যান্য মেডিসিন ওয়ার্ডের বেড ও মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা যখন বাড়তে শুরু করে তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নতুনভাবে ডেঙ্গু কর্নার খুলে সেখানে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। এরপর আরো রোগী বাড়ার কারণে হাসপাতালের ২৫ নং ওয়ার্ডটিকে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্ত ভর্তি প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার থেকে নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। এতেই দেখা দিয়েছে বেড সংকট। কিন্ত কর্তৃপক্ষ বলছেন, যেসব রোগীদের অবস্থা
বেশি খারাপ শুধু তাদেরই ২৫ নং ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তুলনামূলক ভালো রোগীদের বিভিন্ন মেডিসিন ওয়ার্ডে রেখে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখনো বেড বা জায়গার তেমন সংকট দেখা দেয়নি। উত্তরবঙ্গের সব থেকে বড় এ হাসপাতালটিতে এ পর্যন্ত ১২৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়। এরমধ্যে ৬১ জন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছে। আর চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬৩ জন। ডেঙ্গু কর্নার ছাড়াও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রোগীর চিকিৎসা ভালো হচ্ছে। ডেঙ্গুর পরীক্ষাগুলো বাইরে থেকে করাতে হয়েছে। এখন আগের থেকে ভালো। হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে আগের থেকে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। অন্য ওয়ার্ডেও রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে।
এদিকে, যেভাবে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে আর কয়েকদিন পর হাসপাতালে বেড শুধু জায়গারও সংকট দেখা দিতে পারে। কারণ আগে থেকেই মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোতে রোগীদের বেশি চাপ ছিলো। মেঝেতে রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে থাকেন বেড সংকটে। এরপর ডেঙ্গু রোগীর চাপে ওয়ার্ডগুলোতে চাপ আরো বেড়েছে। চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে দুই জন হাসপাতালের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট আইসিইউতে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত ১২৪ জন রোগী ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬১ জন ও চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৩ জন। ২৪ ঘন্টায় নতুন ১৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বেড সংকটের বিষয়ে বলেন, ডেঙ্গু কর্নার ছাড়াও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখনো তেমন সংকট দেখা দেয়নি। পুরো ২৫ ওয়ার্ডেও ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় জ¦র-সর্দি হলেই মানুষ ভয়ে ডেঙ্গু হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করছেন। এ জন্য নগরীর ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে কিছুটা চাপ বেড়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন