নিজস্ব প্রতিবেদক :
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বড় ভাই হায়াতকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনেই অনিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাসের চাপায় মুজিবুর রহমান (৪৫) নামের একব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি নওগাঁর সাপাহার উপজেলার এলেনগর গ্রামের কলিমুদ্দিনের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রামেক হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ১৩ সেপ্টেমবর সন্ধ্যায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে মাইক্রোবাসের চাপায় তিনি গুরুতর আহত হন।
জানা গেছে, নিহত মুজিবুরের বড় ভাই হায়াত আলী সৌদি আরবে হজ্জ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। দেশে আসার বৃহস্পতিবার বিকেলে মুজিবুর তার বড় ভাই হায়াত আলী রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসেন। ২৯ নং ওয়ার্ডে ভাইকে ভর্তির পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা কিছু ওষুধ লিখে দেন। এরপর ওষুধ কিনতে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ দিয়ে বাইরে বের হওয়ার সময় অনিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাস তাকে হঠাৎ করে চাপা দিয়ে দ্রæত গতিতে পালিয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত লোকজন মাইক্রোবাসটিকে ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তবে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে লাগানো সিসি টিভি ক্যামেরা থেকে মাইক্রোবাসটি সনাক্ত করা যেতে পারে। এ সময় মাইক্রোবাসের চাপায় গুরুতর আহত মুজিবুরকে লোকজন তাৎক্ষণিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে। হাসপাতালে ৬ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে নিহতের লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, মাইক্রোবাসটি সম্পূর্ণ অন্যায় ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে নিহত মুজিবুরকে চাপা দেয়। তার গাড়ী চালানো দেখে মনে হয় সে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তার গাড়ীর তথ্য সংগ্রহ করে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এএসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে মাইক্রোবাস চাপায় আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। মাইক্রোবাসটি সনাক্তের চেষ্টা চলছে। আইনি প্রকিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
খবর ২৪ঘণ্টা/এমকে