নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মেডিকেল কলেহ হাসপাতালে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা সুমন উজ্জামান সুমনের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসককে মারধরের প্রতিবাদে প্রায় আধ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন চিকিৎসকরা। পরে পরিচালকের আশ্বাসে কাজে ফিরে যান তারা। যুবলীগ নেতা সুমন পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদির ছেলে ও পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, পুঠিয়ায় আহত হয়ে মনিরুলসহ কয়েকজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে যুবলীগ নেতা সুমন রামেক হাসপাতালের ৩১ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মনিরুলকে দেখতে গিয়ে তার চিকিৎসা হচ্ছেনা বলে
অভিযোগ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজিস্টার আহসানুজ্জামান টিংকুর সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ওই চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করেন তিনি। খবর পেয়ে হাসপাতালের কর্তব্যরত আনসার ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে পরিচালকের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসকরা তার শাস্তির দাবি জানান। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংশা হয়েছে। এ বিষয়ে রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এএসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার পর তারা পুলিশকে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ করে চিকিৎসককে ধাক্কা দিয়েছিল যুবলীগ নেতা সুমন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি। তারা নিজেরা নিজেরাই বিষয়টি মীমাংসা করেছে। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে কথা বলতে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানের সরকারি মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।