নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে ও আউটডোরের সামনে থেকে মাইক্রো স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের ওসি হাফিজুর রহমানের নের্তৃত্বে এ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালকে কেন্দ্র করে জরুরী বিভাগের সামনে ও আশেপাশের রাস্তায় অবৈধভাবে মাইক্রো স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছিল অসাধু মাইক্রোবাস চালকরা। এরা কম দূরত্বেও যেতেও রোগীর স্বজনদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। যদি কেউ তাদের গাড়ীতে যেতে না চাইতো তাহলে তাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হতো। এ নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যার কারণে রোগী ও তার স্বজনরা দূরত্ব অনুযায়ী মাইক্রোবাসের একটা ভাড়া নির্ধারণ করার দাবিও জানিয়ে আসছিল।
লাশবাহী গাড়ীর কাছে জিম্মি রোগীরা এ সংক্রান্ত সংবাদ খবর ২৪ ঘণ্টাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তারপরওই টনক নড়ে প্রশাসন। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান পিপিএম হাসপাতালের সামনে থেকে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড স্থায়ীভাবে উচ্ছেদের নির্দেশ দেয় রাজপাড়া থানাকে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে রাজপাড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাইক্রো স্ট্যান্ড উঠিয়ে দেয়।
অভিযানকালে সব মাইক্রা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সাথে যাতে আর জরুরী বিভাগ ও বহির্বিভাগের রাস্তার সামনে মাইক্রো না দাঁড় করিয়ে রাখা হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড উচ্ছেদ প্রসঙ্গে এক রোগীর স্বজনের সাথে কথা হলে তিনি অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, এটা মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। কিন্তু যাতে এরা আর না বসতে পারে সেদিকে পুলিশের খেয়াল রাখতে হবে। স্থায়ী হলে রোগীদের ভাল হয়। কারণ কোন রোগী ইচ্ছে করলেই হাসপাতাল থেকে নিজের গাড়ীতে যেতে পারে না। তারা জিম্মি করে টাকা নেয়। তাই ভাল হয়েছে। নিজের গাড়ীতে গেলেও তাদের টাকা দিতে হয়।
আরেক রোগীর স্বজন বলেন, এটা ভাল কাজ। কিন্ত যাতে মাইক্রো চালকরা আর হাসপাতালে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ কমিশনার স্যারের নির্দেশে মাইক্রো স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে। স্থায়ীভাবেই উচ্ছেদ করা হয়েছে। যাতে তারা আর না বসতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) আমির জাফর বলেন, মাইক্রো স্ট্যান্ড উঠিয়ে দেওয়া মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। স্থায়ীভাবেই উঠানো হয়েছে। আর যাতে তারা না বসতে পারে সেই ব্যাপরে পুলিশ মনিটরিং করবে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে