রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহতদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এঘটনায় বিশ্ববদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার শনিবার রাতে সাংবাদকিদের বলনে, “উদ্ভূত পরস্থিতিরি কারণে আগমাীকাল রোববার ও সোমবারের সব ধরনের পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগতি ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে সংঘর্ষ থেমেছে।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে ‘মোহাম্মদথ নামের একটি বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলামিন। বাসের আসনে বসাকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে চালক শরিফুল ও চালকের সহকারী রিপনের কথা কাটাকাটি হয়। বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকে পৌঁছালে রিপনের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর আবার বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় স্থানীয় এক দোকানদার এসে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কে জড়ান।
একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে ওই দোকানদারের ওপর চড়াও হন। তখন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। শিক্ষার্থীরাও পাল্টা হামলা চালান। একপর্যায়ে স্থানীয় দোকানদাররা বিনোদপুর বাজারে অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকের ভেতরে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। থেমে থেমে চলা দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দুই শতাধিক আহত হন।
এদিকে, খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বিনোদপুর বাজারে যান। তখন তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পাশাপাশি বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।সংঘর্ষে আহতদের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম ও হুমায়ুন কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে ছুটে আসেন। সুলতান উল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে কাভার করা যাচ্ছে না। আমরা তাদের বাস দিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতানা ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিএ/