রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য জাকারিয়াসহ ‘দুর্নীতিবাজ’ ব্যক্তিদের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পিছনে আমতলায় ‘সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বিরোধী’ মঞ্চের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় তারা।
সম্মলনে তারা বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে দাবি না মানা হলে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও’ ব্যানারে লাগাতার কর্মসূচি করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা দুনীতিবাজদের অপসারণ না করা পর্যন্ত সকল প্রকার নিয়োগ স্থগিত, গণতান্ত্রিক উপায়ে ভিসি, প্রো-ভিসি নির্বাচন, রাকসু ও রেজিস্টার গ্রাজুয়েট নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেট পূ্র্ণাঙ্গ করে গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থানীয় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখার দাবি জানান।
রাবি ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মহব্বত হোসেন মিলন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের প্রশাসনের যেকোনও দায়িত্বে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় আর একদিনেও চলতে পারে না। এত বড় অপরাধ করার পর তাদের শিক্ষকতা করারও কোনও নৈতিক অধিকার নেই। তাই দ্রুত ভিসি, প্রো-ভিসিসহ দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অপসারণ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ ইউজিসির তদন্ত কমিটি সরেজমিনে দু’দফা তদন্ত করে ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্টারসহ বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২৫ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পায়। কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু প্রমানিত দুর্নীতিবাজ ভিসি ও প্রো-ভিসি কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে এখনো স্বপদে বহাল আছে তা আমরা বুঝে উঠতে পারছিনা। আমরা মনে করি অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারেনা। আমরা আচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মুর্শেদুল আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য আজিজুল মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এস/আর