বিভাগটির সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগামী ৮মে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে রেজাউল করিম হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। আমরা আশা করছি এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার পাব, আর যদি না পাই তাহলে আবার ৮মে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাব। আন্দোলনে কুচক্রী মহল প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। শিক্ষার্থীদের হয়রানী শিকার করতে পারে,এ বিষয়ে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে”।
ইংরেজী বিভাগের সভাপতি ড. এ এফ এম মাসউদ আখতার তার বক্তব্যে বলেন, অধ্যাপক রেজাউল করিম শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন। হত্যাকারীরা তাকে হত্যা করে তার সৃজনশীলতা ও মুক্তচিন্তাকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। যারাই হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে এবং আশা করছি রায়ে সুষ্ঠু ও ন্যায্য বিচার আমরা পাব। সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আমাদের আন্দোলন কেউ যেন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
এসময় বিভাগের শিক্ষার্থীরা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ইংরেজি বিভাগের এই শিক্ষক কে ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল নগরীর শালবাগান এলাকায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তার ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের অভিযুক্ত করে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন।বর্তমানে মামলাটি রাজশাহী দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে এবং আগামী ৮ মে রায় প্রদানের কথা রয়েছে।খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ