রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচের চিঠি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছেছে।
হত্যা মামলার দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করতে আর কোন বাধা নেই।
জেল কোড অনুযায়ী, চিঠি হাতে পাওয়ার ২১ থেকে ২৮ দিনের দিনের মধ্যে যে কোনো দিন ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রাণভিক্ষা নাকচের চিঠি ডাকযোগে কারাগারে এসে পৌঁছেছে। কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রায় ছয় মাস আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন আসামিরা। সে আবেদন গত মাসে রাষ্ট্রপতি নাকচ করেন। এর মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত অধ্যাপক তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে চলমান সব দাপ্তরিক ও আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়। এখন জেল কোড অনুযায়ী ফাঁসি কার্যকরে উদ্যোগ নেবে কারা কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন্স কামাল হোসেন বলেন, জেল কোড অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিনক্ষণ ঠিক করার পর আত্মীয়স্বজনকে শেষ দেখা করার জন্য খবর দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পশ্চিমপাড়া আবাসিক কোয়ার্টার থেকে নিখোঁজ হন অধ্যাপক তাহের। বাসায় তিনি একাই থাকতেন। কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম তার দেখাশোনা করতেন। পরদিন বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের গলিত মরদেহ। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
বিএ/