রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) শুরু হতে যাচ্ছে। চলবে টানা তিনদিন। পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে ও রাজশাহী শহরে গাড়ি চলাচলে কিছু নির্দেশনা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, পরীক্ষা চলাকালে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কক্ষের বাইরে যেতে পারবে না। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ও ক্যালকুলেটরসহ মেমোরিযুক্ত অন্য কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা যাবে না। পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা ভবনের গেট ও ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষের প্রবেশগেট খুলে দেওয়া হবে।
ভর্তি-পরীক্ষা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে ৫ থেকে ৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো শহরের নির্ধারিত স্থান থেকে সকাল সোয়া সাতটায় ক্যাম্পাস অভিমুখে ছেড়ে আসবে। ৫ ও ৬ মার্চ ক্যাম্পাস থেকে বিকেল সোয়া পাঁচটায় এবং ৭ মার্চ বিকেল পৌনে তিনটায় ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাবে। সকাল সাড়ে সাতটায় পর ক্যাম্পাসে কোনো প্রকার ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।
এছাড়াও ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন কাজলা ও বিনোদপুর গেট দিয়ে প্রবেশ করে মেইন গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবে। কৃষি ও চারুকলা অনুষদে যাওয়ার ক্ষেত্রে মন্নুজান হল বেগম খালেদা জিয়া হল স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন-তুঁত বাগান সংলগ্ন রাস্তাটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তবে, শারীরিক প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা সব রাস্তা ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়াও, চারুকলা ও কৃষি অনুষদে যাওয়ার জন্য শহর থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের অক্ট্রয়মোড় থেকে ওভারব্রিজ সংলগ্ন রাস্তা ও ভদ্রা গেট এবং কাটাখালীর দিক থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের ফল গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয় ফায়ার সার্ভিসের পাশের রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই তিনদিন ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার পরিবহনগুলো প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বেলপুকুর, আমচত্বর, রেলগেট হয়ে ঢাকা বাস টার্মিনালে পৌঁছাবে। রাজশাহী থেকে অন্য জেলাগুলোতেও একই রাস্তা দিয়ে গাড়িগুলো চলাচল করবে। এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে বড় কোনো যান চলাচল করবে না।
প্রসঙ্গত, এ বছর বিশেষ কোটাসহ মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৪৩৮টি এবং কোটা বাদে আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৯০৪টি। এই আসনের বিপরীতে মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮০টি চূড়ান্ত আবেদন জমা হয়েছে। ‘এ’ ইউনিটে ৭৪ হাজার ৭৮৫টি, ‘বি’ ইউনিটে ৩৪ হাজার ৫৪১টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ৭৬ হাজার ৩৫৪টি চূড়ান্ত আবেদন সম্পন্ন হয়েছে।
এবার একক আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৭৭ টি। এর মধ্যে পুরুষ আবেদনকারীর সংখ্যা ৯০ হাজার ৪৫৬টি এবং নারী আবেদনকারীর সংখ্যা ৬৪ হাজার ৫২১টি। তবে কোটা বাদে আবেদনকারীর সংখ্যা ‘এ’ ইউনিটে ৬৯ হাজার ৫২৭টি, ‘বি’ ইউনিটে ৩২ হাজার ৬১৪টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ৭০ হাজার ৯৭৬টি।
জ/ন