রাবিতে সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী নাট্যোৎসব শুরু
প্রকাশের সময় :
রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৮
khobor24ghonta.com
রাবি প্রতিনিধি : ‘মিলি মৈত্রীবন্ধনে গড়ি সংস্কৃতির সেতু’ এ স্লোগান কে উপজীব্য করে বাঙ্গালি সংস্কৃতির অমলিন সেতুবন্ধনকে আরো অধিক মজবুত করার লক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী নাট্যোৎসব আয়োজন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ। আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি ড. মো. আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহান।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, বাংলা একাডেমীরর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, নাট্যব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক বিভাগের অধ্যাপক ড. সোমনাথ সিনহা প্রমুখ।
khobor24ghonta.com
অতিথিরা স্বারকফলক উন্মোচন করার পরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় উপাচার্য এম. আব্দুস সোবহান বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক জন্মলগ্ন থেকেই। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে তা যদি অস্বীকার করা হয় তাহলে বাঙ্গালি বিশ্ব দরবারে অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে পরিচিত হবে, কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে পরিচিত হতে চায় না। এসময় তিনি আরো বলেন নাটক হচ্ছে সমাজের দর্পণ। এর মাধ্যমে সমাজের শাসক-শোষিত, সংস্কৃতি সহ সমাজের সার্বিক পরিস্থিতি ফুটিয়ে তোলা যায়।
প্রধান অতিথি শ্রী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অন্য উচ্চতায় অবস্থান করছে। ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ভারতে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা রয়েছে, এতে শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ উপকৃত হচ্ছে। এসময় তিনি ভারত সুখে-দুঃখে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানান।
উল্লেখ্য যে রাবির নাট্যকলা বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও ভারতীয় হাইকমিশনের সহযোগীতায় আয়োজিত এ নাট্যোৎসবে অংশগ্রহণ করছে ভারতের অশোকনগর নাট্যমুখ, লোককৃষ্টি এবং শ্রুতি পারফরমিং ট্রুপ সহ উভয় দেশের ১৩ টি নাট্যদল। শহীদ সুকরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তন ও কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে প্রতিদিন বিকেল-সন্ধ্যা নাট্য প্রদর্শনী চলবে আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত।