রাবি প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর নামে ‘উড়ো চিঠি’ ব্যবহার করে শিক্ষককে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই চিঠিতে জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করার অভিযোগ এনে নগরীর মতিহার থানায় পৃথক দুইটি সাধারণ ডায়েরি করেন ওই দুই শিক্ষার্থী।
অভিযোগকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন- ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এমবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শহিদুল ইসলাম ও বিবিএ চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী বছির উদ্দীন। তারা দুইজনই তাদের নিজ শ্রেণির প্রতিনিধি।
শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই দুই শিক্ষার্থী এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে দুই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, গত বৃহস্পতিবার আমরা জানতে পারি, আমাদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আমরা চিঠির একটি কপি সংগ্রহ করে জানতে পারি, চিঠিতে আমাদের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রচারিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোলাইমান চৌধুরী, ড. জিন্নাত আরা বেগম, ড. হাসনা হেনা এবং ড. সাইফুল ইসলাম শ্রেণি প্রতিনিধিদের হুমকি-ধামকি দিয়ে বিভাগের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছেন। তাদের ভয়ভীতিকে পুঁজি করে নানা ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত করেছেন।
ওই চিঠির সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে শিক্ষার্থী শহিদুল ও বছির বলেন, চিঠিতে উল্লিখিত শিক্ষকগণ কখনও তাদের কোনো প্রকার অনৈতিক দিক-নির্দেশনা প্রদান করেননি এবং চিঠিতে উল্লেখিত কার্যক্রমের সঙ্গে তারা কোনোভাবে সম্পৃক্ত নয়। চিঠিতে যে স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে তা জাল। ‘বছির’ এর নাম ‘বসির’ লেখা হয়েছে। প্রচারিত চিঠি বিশ্ববিদ্যালয় পোস্ট অফিস থেকে প্রেরণ করা হয়েছে তবে চিঠির খামে কোনো প্রেরকের ঠিকানা উল্লেখ ছিল না।
চিঠিকে ‘উড়ো চিঠি’ দাবি করে শিক্ষার্থীরা দাবি করে বলেন, চিঠির উৎস, প্রচার ও প্রসার সম্পর্কে তারা অবগত নয় এবং চিঠিতে উল্লিখিত কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ও জড়িত নয়।
চিঠির বিষয়ে বিভাগের সভাপতি ড. জাফর সাদিক বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে আমার কাছে কোনো চিঠি আসেনি। বিষয়টি নিয়ে অফিসিয়াল কোনো আলোচনা হয়নি।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ