দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি এখন মাত্র কয়েক মাস। তবে এই নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম রাজনৈতিক নেতাদের অফিসগুলো। নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিতে তৎপর মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন সাবেক এমপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাদিম মোস্তফা, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলার সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডল, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী মাহমুদা হাবিবা ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বাক্কার সিদ্দিক।
এদের মধ্যে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাদিম মোস্তফা রাজশাহী-৫ আসনের এমপি ছিলেন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এই এলাকা থেকে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। তিনবার কারাগারে গেছেন তিনি। রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাদিম মোস্তফা জানান, মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করব। এলাকার এমপি ছিলাম দুইবার। অনেক উন্নয়ন করেছি। এখন নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি। এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ করছি নিয়মিত।
সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২০০৮ ও ২০১৮ সালে ভোট করেছেন। দুইবারই সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। তিনি বলেন, বিএনপির দুঃসময়ে দুইবার ভোট করেছি। তাকে কারচুপির মাধ্যমে হারানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা তার বড় ভাই। ১৯৭০ সালে ছাত্র ইউনিয়নের পুঠিয়া থানার সেক্রেটারি ছিলেন। পরে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত সেখানে যোগ দেন। ১৯৯০ সালে বিএনপি থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী তিনি। কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে আন্দোলনসহ বিভিন্ন সভা সমাবেশের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের পাশে রয়েছেন তিনি।
মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও মুসতাং অ্যাপারেলস এর চেয়ারম্যান মাহমুদা হাবিবাও এই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়া নিয়ে আশাবাদী। তিনি জানান, তার বাবা সাবেক মুসলিম লীগ নেতা মরহুম আয়েন উদ্দিন এই এলাকার এমপি ছিলেন। পারিবারিক ভাবেও তিনি এলাকায় সুপরিচিত। এলাকায় জনগণের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। মনোনয়ন পেলে জয়ী হয়ে এই আসনটি দলীয় চেয়ারপার্সনকে উপহার দিতে চান তিনি।
তরুণ ও উদীয়মান সাবেক ছাত্রনেতা ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বাক্কার সিদ্দিক ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে চান এই আসনে। চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে তার। তার সমর্থকদের সাথে নিয়মিত সভা করা চলেছেন তিনি। দলীয় মনোনয়ন পেলে অবশ্যই নির্বাচন করবেন বলে জানান তিনি।
তবে তারা জানান, বর্তমানে কেয়ারটেকার সরকারের দাবি ও দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসুচি চলছে। এসব দাবি পূরণ না হলে দল নির্বাচনে যাবেনা। এসব দাবি পূরণ হলে দল নির্বাচনে যাবে। তারপর মনোনয়ন চাইবো।
বিএ..