মামুনুর রশিদ মামুন, তানোর :
একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ আসন রাজশাহী -১ তানোর -গোদাগাড়ি । এ আসনে ১৯৯১ -১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপির মোননিত প্রার্থাী ব্যারিষ্টার আমিনুল হক নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন।২০০৮ সালে নির্বাচনে ব্যারিষ্টার আমিনুল হক অংশ গ্রহন করতে না পারলে তার ভাই সাবেক আইজিপি এনামুল হক ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে। সেই নির্বাচনে জেলা আ’লীগের সভাপতি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধূরী নৌকা প্রতিক নিয়ে ২০ হাজার ভোটের ব্যাবধানে তানোরে সন্তান হিসেবে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পরে ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করলে আবারো বিনা ভোটে সংসদ সদস্য নিবাচিত হন তিনি। বর্তমান ২০১৯ সালে নির্বাচনে দু”দলের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়াই করবে। আ’লীগের প্রার্থীর ইচ্ছে হচ্ছে হ্যাটট্রিক করে আসনটি ধরে রাখতে চায় আর বিএনপির প্রার্থীর চেষ্টা পুনরুদ্ধারের । বড় দু’দলের প্রার্থী শক্তিশালী হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ আসনে লড়াই ভালই হবে এমনটায় আশা করছেন ভোটারা।তবে আসনটিতে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধূরী নির্বাচিত হয়ে দশ বছরে বিভিন্ন প্রকারের ভাতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবণ নির্মান, রাস্তা ঘাটের উন্নায়ন, শিক্ষকদের বেতন ভাতা ডবল, টিযার, কাবিখা,কাবিটা, হতদারিদ্রদের কর্মসূচির প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীন অবকাঠামোর উন্নায়, শিক্ষার্থীদের সেকায়েপ প্রকল্পেরে মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান, বর্তমান সরকারের আমলে বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারী করন, কৃষকদের সারে ভূক্তকিসহ বিভিন্ন উন্নায়য়ন করে সাধারন মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন বলে তার দাবি। তিনি আরো বলেন আগামী নির্বাচনে তানোর- গোদাগাড়ির ভোটারা আমাকে বিপুল ভোট দিয়ে জয়ী করাবে।অপরদিকে ব্যারিষ্টার আমিনুল হক বলেন, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী থাকার সময় ১৫ বছরের উন্নায়নের কথা বলে ভোটাদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছেন।তিনি আরো বলেন দেশের মানুষ আর অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় বসাতে চায়না। তানোর – গোদাগাড়ির সাধারন জনগন তার ভোটার অধিকার ফিরে পেতে এ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমাকে জয়ী করবেন বলে তিনি জানান।
খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে