নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী স্টেশনের রেলের ডিপো থেকে ৫ হাজার লিটার তেল চুরির ঘটনায় গ্রেফতার পশ্চিমাঞ্চল রেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ ৪জনের বিরুদ্ধে ৩ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেছেন আদালত। এদের মধ্যে উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে শুনানি শেষে এ রিমান্ড মুঞ্জুর করেছে ভারচুয়াল কোর্ট।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ইন্সপেক্টর আহসান হাবিব। তিনি বলেন, গত ২৫ এপ্রিল প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। রেলের কর্মকর্তাসহ তেল চুরির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মোট ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।যাদের মধ্যে ৩জন এখন পর্যন্ত পালাতক রয়েছে।
সোমাবার দুপুরে শুনানি শেষে গ্রেফতারকৃত যমুনা ওয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, ট্যাংক লরির হেলপার ইলিয়াস হোসেন এবং যমুনা অয়েলের কর্মচারী মুকুল আলীকে ৩ দিন করে রিমান্ড মুঞ্জর করেন বিজ্ঞ আদালত।
“২৩ এপ্রিল প্রকাশ্য দিবালোকে রাজশাহী স্টেশনের রেললাইনে দাড়িয়ে থাকা তেলের একটি বিশাল ওয়াগন থেকে যমুনা অয়েলের লরিট্রাকে করে তেল চুরি করা হচ্ছিল। ট্রাক লরিটির ধারণ ক্ষমতা ৫হাজার লিটার। আর ট্রেনের ওই ওয়াগনে তেল ছিলো প্রায় ৫০ হাজার লিটার। এসময় রেলের নিরাপত্তা শাখার কর্মীরা হাতেনাতে তেল চুরি ধরে ফেলে।
অপরদিকে উপ সহকারী প্রকৌশলী মো: আবুল হাসানকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২৩ এপ্রিল দুপুরে ৫ হাজার লিটার তেল চুরির সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। এসময় উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসান পালিয়ে যায়। পরে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকাকর দায়ে তাকেও গ্রেফতার করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেক আসামিরই সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য সেসময় আদালতে আবেদনের শুনানি হয়নি। আবশেষে সোমবার এ রিমান্ড মুঞ্জুর করা হয়।
এর আগে রাজশাহীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলের একটি ওয়াগান থেকে একটি ট্যাং লরিতে করে তেল চুরির সময় হাতেনাতে লরি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদী জব্দ করেন রেলওয়ের আরএনবির সদস্যরা।
এসময় তিনজনকে আটক করা হয়। ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
পরে আরএনবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে আবদুল হাসানসহ মোট ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এই মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক আছে। তারা হলেন- যমুনা পেট্রোলিয়াম কোম্পানির সহকারী ম্যানেজার আশফাকুল ইসলাম, তেল ক্রেতা (মূল চোর) রবিউল ইসলাম ও ট্রাক চালক বাবু আলী খান। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তেল চুরির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছিল পশ্চিম রেল কর্তৃপক্ষ। পশ্চিম রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশলী আশীষ কুমার মণ্ডলকে করা হয়েছিল এই কমিটির প্রধান। তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চলে রেলওয়ের জিএম মিহির কান্তি গুহু।খবর২৪ঘন্টা /এবি