নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীতে ইতিমধ্যেই করোনায় ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আগে করোনা রোগী শনাক্ত হলেও এখন মহানগরীতে জেলার ৯টি উপজেলার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রতিদিনই এই তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। এরই মাঝে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর পশুর হাট রাজশাহী সিটি হাটে কোরবানীর গরু ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এ জেলায় ক্রেতা-বিক্রেতারা গরু কিনতে ও বিক্রি করতে আসছেন। এ হাটে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হলেও সরকার কর্তৃক দেয়া নির্দেশনা মানছেনা ক্রেতা-বিক্রেতারা কেউই। শারীরিক ও দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার তোয়াক্কা নেই কারো মধ্যে। হাটে আসা
অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। মাস্ক নেই তার সাথে শারীরিক দূরত্ব মোটেও বজায় থাকছে না। এ কারণে আরো করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইতিমধ্যেই কোরবানীর জন্য পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই পশু কেনাবেচার জন্য হাটে আসছেন। পশু কেনাবেচার জন্য রাজশাহী অঞ্চলে যে কয়টি হাট রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো রাজশাহী সিটি হাট। এ হাটে শুধু আশেপাশের এলাকা থেকেই নয় বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন আসে। আর সেই হাটে করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মানছেনা ক্রেতা-বিক্রেতারা। এ জন্য করোনা সংক্রমণ আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে সচেতন মানুষরা মনে করছেন। রাজশাহীর সিটি হাটে গতকাল পশু বিক্রি করার জন্য বড় নসিমন ও ট্রাকে করে গরু নিয়ে আসতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। বিক্রেতারা যেমন আসছেন তেমনি আসছেন ক্রেতারাও। ক্রেতা-বিক্রেতারা হাটের ভেতরে নির্ধারিত স্থানে পশু বিক্রির জন্য যাচ্ছে। সারি করে গরু দাঁড় করিয়ে পাশেই
বিক্রেতারা গাদাগাদি করে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্ত দেখা যায় অধিকাংশরই মুখে মাস্ক নেই। মাস্ক ছাড়াই খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে বিক্রেতারা গরু বিক্রি করছেন। আবার ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই মাস্ক ছাড়া কথা বলছেন খুব কাছাকাছি। কেউ মাস্ক দিয়ে থাকলেও সেটি মুখ থেকে নিচে নামিয়ে কথা বলছেন। এ কারণে অনেকে মাস্ক থাকার পরেও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় কোন কাজে আসছেনা। শুধু তাই নয় হাটের মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেন্দ্র করে খাবার হোটেলগুলো রয়েছে সেগুলোতেও ক্রেতারা গাদাগাদি করে একসাথে বসে
খাচ্ছেন। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব না মানায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সচেতন মানুষের দাবি, করোনার এই ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে যাতে পশু ক্রয়-বিক্রয় করার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া করোনা আরো ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, হাটে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মা না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমকে