নিজস্ব প্রতিবেদক :
চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে এবং ৩০ জুলাই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে বিজয়ী করতে করণীয় বিষয় নিয়ে রাজশাহী মহানগর যুবদলের আয়োজনে নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। সভা পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন।
অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাবলু, যুবনেতা রাজিব উল ইসলাম ডিনপল, শফিকুল ইসলাম ফায়ারিং ও আনোয়ার আকতার কাজল সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতা মিজানুর রহামান মিনু প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আগামী সিটি নির্বাচনে বীরের বেশে জিতবে হবে। খালেদার মুক্তি ও দেশের জনগণকে এই দুর্নীতিবাজ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার হাত হতে রক্ষা করতে ধানের শীষের কোন বিকল্প নেই। রাজশাহীর সিটি নির্চাচনে বিজয়ের মাধ্যমে খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিদায় করার ঘন্টা বাজানো হবে বলে তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। সেইসাথে সিটি নির্বাচনে সকল বাধা অতিক্রম করে এবং ভোট সেন্টারগুলো কঠোর ভাবে পাহাড়ার মাধ্যমে জনগণের ভোট প্রদান নিশ্চিৎ করার আহবান জানান তিনি।
সাবেক মেয়র বুলবুল বলেন, গতকাল সকাল থেকে তারা নগরীর প্রতিটি স্থান দখল করে দলীয় পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার টাঙ্গিয়ে দিয়ে। অন্য দলের প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙ্গানোর মত কোন জায়গা রাখেনি। তিনি আরো বলেন, একজন প্রার্থী কোটি কোটি টাকা শুধু এই সকল উপকরণে খরচ কওে তাহলে একটি নির্বাচন করতে সে কত টাকা ব্যয় করবে। আর এই ব্যায়ের টাকা মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরে সিটি কর্পোরেশন এলাকার উন্নয়ন প্রকল্প থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনে যত টাকা অপচয় করেছিল তার বেশী টাকা তুলে নেবে। এতে করে কর্পোরেশন এলাকার উন্নয়নের চাকা থমকে যাবে বলে তিনি জানানা। তিনি আরো বলেন, সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী সেই পন্থা অবলম্বন করছেন। একজন প্রার্থীকে চিনতে এত কিছু দরকার হয়না। আর ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার এবং নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট পাওয়া যায় না। নগরবাসীকে নির্বিঘেœ ৩০ তারিখে সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রে এসে নিজের ভোট নিজেকে প্রদান করার আহবান জানান বুলবুল। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বিএনপি থেকে করা হবে বলে বক্তৃতায় তিনি উল্লেখ করেন। সেইসাথে যুবদলের নেতাকর্মীদের সকল বাধা অতিক্রম করে নির্বাচন আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচারণা পরিচালনা করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও ভোটের দিন কোন প্রকার বাধা আসলে প্রতিহত করার আহবান জানান তিনি।
বিএনপি নেতা মিলন বলেন, এই নির্বাচন শুধু মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের নয়। এই নির্বাচন ধানের শীষের নির্বাচন। এই নির্বাচন জাতীয় ঐক্যের নির্বাচন। এই নির্বাচন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং এই অবৈধ সরকারের পতনের নির্বাচন। জীবন দিয়ে হলেও এই নির্বাচনে সকল প্রতিহত করে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে বলে জানান এই নেতা। সেইলক্ষে প্রতিটি কর্মীকে কোথাও আড্ডা না দিয়ে প্রতিনিয়ত নিজ নিজ এলাকার প্রতিটি পাড়ার বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে প্রতিটি ভোটারের নিকট ভোট চাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন মিলন। সেইসাথে ভোট সেন্টার ও বুথ কঠোরভাবে পাহাড়া দেওয়া নির্দেশ দেন তিনি।
উপস্থিত যুবদলের নেতৃবৃন্দ জীবন উৎসর্গ করে দুর্বৃত্তের কবল থেকে ভোট সেন্টার রক্ষা করে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তারা। সেইসাথে বিএনপি’র নির্দেশ অনুযায়ী তারা কাজ করবেন বলে জানান তারা।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে