নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিভাগের ৮ টি জেলায় একদিনে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২১৯ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৯৮ জনে। ১ দিনে শনাক্ত হয়েছে ২১৯ জন। এদিন নতুন করে আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় শেষ ২৪ ঘন্টায় বিভাগের ৮টি জেলায় ১৭২ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছে। এ পর্যন্ত বিভাগে ৮৫ জন মারা গেছে। সবচাইতে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছে বগুড়া জেলায়। এ জেলায় মারা গেছে ৫৩ জন। তারপরের অবস্থানের পাবনা রাজশাহী জেলায় মারা গেছে ৯ জন ও পাবনা জেলায় মারা গেছে ৮ জন। একদিনে সবচাইতে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী জেলায় ১০৬ জন। গত
দিনের তুলনায় এদিন শেষ ২৪ ঘন্টায় বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহী জেলায় জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮৫ জন। তবে এ পর্যন্ত সবচাইতে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে বগুড়া জেলায় ৩ হাজার ৫২জনে। বগুড়া, রাজশাহী, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ ও পাবনা জেলায় বেশি করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। বৃহস্পতিবার রাজশাহী জেলায় রেকর্ড পরিমাণ সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১০৬ জনের। রাজশাহী বিভাগে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৯৮ জন ও মারা গেছে ৮৫ জন। বগুড়ায় প্রথম দিক থেকেই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। এখন এর হার আরো বাড়ছে। তারপরের অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী জেলা। এ জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত
রোগীর সংখ্যা ৭৮৫ জন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা। এ জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৯৪ জন। আর বিভাগের সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১০১ জন।
করোনায় এ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জনের। এরমধ্যে রাজশাহীতে ৯ জন, নওগাঁয় ৬ জন, জয়পুরহাট ০ জন, নাটোরে ১ জন, বগুড়ায় ৫৩ জন, সিরাজগঞ্জ ৮ জন ও পাবনায় ৮ জন করোনা রোগী মারা গেছে। করোনা আক্রান্ত ৫ হাজার ৮৯৮ জনের মধ্যে রাজশাহী ৭৮৫ জন, নওগাঁ ৪৫২ জন, নাটোর ১৮৬ জন, জয়পুরহাট ৩৮১ জন, সিরাজগঞ্জ ৪৯৪ জন ও পাবনা জেলায় ৪৪৭
জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ১৬৭২ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৫৯২ জন। আইশোলেসন থেকে ছাড় পেয়েছে ৬৭৪ জন রোগী। আইশোলেসনে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৩০৭ জন। বিভাগের ৮টি জেলায় মোট ৪৬ হাজার ৫৫২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে শারীরিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও অপ্রয়োজনের ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সেই সাথে ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। প্রত্যেককেই সচেতন হওয়ার কোন বিকল্প নেই।
এমকে