নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিভাগের ৮ টি জেলায় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫০০ জনে। ১ দিনে শনাক্ত হয়েছে ২৪২ জন ও নতুন মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। এ পর্যন্ত বিভাগে ৮০ জন মারা গেছে। সবচাইতে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছে বগুড়া জেলায়। এ জেলায় মারা গেছে ৫২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় বগুড়া জেলায় মারা গেছে ৪ জন। তারপরের অবস্থানের পাবনা জেলায় মারা গেছে ৮ জন ও রাজশাহী জেলায় মারা গেছে ৮ জন।
একদিনে সবচাইতে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বগুড়া জেলায় ১৩৬ জন। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় এ বিভাগে ও বগুড়া জেলায় বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। বগুড়া জেলায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৩৬ জন নতুন করে করোনা পজিটিভ হয়েছে। আগের দিন সোমবার শনাক্ত হয়েছিল ৬৯ জনের। বগুড়া জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯১৮ জনে। বগুড়া, রাজশাহী, জয়পুরহাট,
সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ ও পাবনা জেলায় বেশি করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। তবে অন্যান্য জেলার সাথে পাল্লা দিয়ে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতেও করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ জেলায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনিবার এ জেলায় রেকর্ড পরিমাণ সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৬৬ জনের।
রাজশাহী বিভাগে সোমবার পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫০০ জন ও মারা গেছে ৮০ জন। বগুড়ায় প্রথম দিক থেকেই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। এখন এর হার আরো বাড়ছে। তারপরের অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী জেলা। এ জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬১৪ জন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নওগাঁ জেলা। এ জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৫২ জন। আর বিভাগের সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১০১ জন।
করোনায় এ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। এরমধ্যে রাজশাহীতে ৮ জন, নওগাঁয় ৬ জন, জয়পুরহাট ০ জন, নাটোরে ১ জন, বগুড়ায় ৫২ জন, সিরাজগঞ্জ ৫ জন ও পাবনায় ৮ জন করোনা রোগী মারা গেছে।
করোনা আক্রান্ত ৫ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে রাজশাহী ৫১৪ জন, নওগাঁ ৪৫২ জন, নাটোর ১৬৭ জন, জয়পুরহাট ৩৬৬ জন, সিরাজগঞ্জ ৪৩৯জন ও পাবনা জেলায় ৪৪৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে
১২৮১জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৫৬৫ জন।
আইশোলেসন থেকে ছাড় পেয়েছে ৬১৫ জন রোগী। আইশোলেসনে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১২২৩জন। বিভাগের ৮টি জেলায় মোট ৪৫ হাজার ৯৯৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে শারীরিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও অপ্রয়োজনের ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সেই সাথে ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। প্রত্যেককেই সচেতন হওয়ার কোন বিকল্প নেই।
এমকে