নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ের ৪০ জন জয়ীতাকে পুরস্কার ও সম্মাননা দিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনের প্রধান অতিথি থেকে জয়ীতাদের মাঝে এ পুরস্কার ও উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা দেন প্রতিমন্ত্রী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের পুর্নবাসন এবং জার্মান, ব্রিটেন, ভারত থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। তাদেরকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা করবার লক্ষ্যে বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। এ সকল নির্যাতিত নারীদের বিয়েতে অভিভাবকের নামের স্থলে তিনি নিজের নাম লেখার অনুমতি দিয়ে বলেছিলেন, বলে দাও বাবার নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ঠিকানা ধানমন্ডি ৩২। দেশব্যাপী নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে
জয়ীতা অন্বেষণে বাংলাদেশ কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে এ কার্যক্রমের সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এখন দেশে ১৮০টি স্টলের মাধ্যমে ১৮ হাজার নারী উদ্যোক্তাগণ তাদের উৎপাদিত পণ্য বিপণন করতে পারছে। বর্তমান সরকার ৩৯ হাজার নারীকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র, কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল চালু করেছে। ১০ লাখ ৪০ হাজার নারীকে ভিজিডি কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। ৭ লাখ ৭০ হাজার নারীকে মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে জীবনযুদ্ধে জয়ী রাজশাহী বিভাগের মোট ৪০ জন জয়ীতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে প্রতিমন্ত্রী উত্তরীয় পরিয়ে সম্মানিত করেন। এদের মধ্য থেকে ৫টি ক্যাটাগরীতে মোট ৫ জনকে শ্রেষ্ঠ জয়ীতা এবং অন্য ৫ জনকে রার্নাস আপ
জয়ীতা নির্বাচন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রতিমন্ত্রী শ্রেষ্ঠ জয়ীতাদের অর্থ পুরস্কার, সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন। অন্যান্যদেরকে সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করেন। বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন আক্তার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক একেএম হাফিজ আক্তার ও রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বক্তব্য দেন।
আর/এস