নিজস্ব প্রতিবেদক : অনৈতিক দাবি না মানায় রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কর্তৃক পুকুরে ফেলে চুবানোর ঘটনায় আরো ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের হাতে আটককৃতরা হলো, নগরীর রাজপাড়া থানার সিপাইপাড়া এলাকার বাহারাম বাদশার ছেলে মাহাবুব হোসেন (১৯), চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনী ১ নং গলি পশ্চিমপাড়া এলাকার কামারুজ্জামানের ছেলে নাইমুজ্জামান (১৯), একই এলাকার নুর হোসেনের ছেলে মামুন আলী শিপন (২০) ও একই এলাকার সাহেদ আলীর ছেলে নাইম ইসলাম (১৯)। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরো ৪ জন আসামীকে আটক করে। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর রোববার দুপুরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অনৈতিক দাবি না মানায় তারা অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে চুবায়। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে অধ্যক্ষ ৮
জনের নাম উল্লেখসহ ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ দুই দিনে ৯ জনকে আটক করে। এরপর মঙ্গলবার আরো ৪ জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মোট ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার পর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকে বহিস্কার করা হয়। এ ছাড়াও সেখানে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
আর/এস