নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাকালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এর নিয়ন্ত্রণাধীন রাজশাহী পর্যটন মোটেলে নিম্নমান সহকারী (কার্যসহকারী) সনজয় কুমারকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজে যোগ দিতে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তিনি পর্যটন মোটেল ঢাকায় একটি লিখিত আবেদন প্রেরণ করেছেন। তবে পর্যটন মোটেল রাজশাহী ইউনিটের ব্যবস্থাপক মোতাহার হোসেনের দাবি, করোনাকালে সীমিত লোকবল দিয়ে কার্যক্রম চালানোর কেন্দ্রীয় সিদ্ধাতের কারণেই তাকে কাজে যোগ দিতে দেয়া হচ্ছেনা। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পেলে তাকে যেকোন সময় কাজে যোগ দিতে দেয়া হবে।
রাজশাহী পর্যটন মোটেলের ভ‚ক্তভোগি নিম্নমান সহকারী (কার্যসহকারী) সঞ্জয় কুমার
অভিযোগ করে জানান, তিনি গত ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রয়ারী পর্যটন মোটেল রাজশাহীতে কার্য-সহকারী হিসেবে নিম্নমান সহকারী পদে দৈনিক মজুরী ভিত্তিক যোগদান করেন। যোগদানের পর হতে তিনি অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করিয়া চলেছেন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এর প্রধান কার্যালয়ের বাণিজ্যিক শাখা হতে ইস্যুকৃত স্মারক নং-৩০.৩২.০০০০.০৫২.৯৯.০০১.১৮.১৩৯ তারিখ ২৩/০৩/২০২০ এর আদেশে নিরাপত্তা/ক্লিনিং/ অত্যাবশ্যকীয় কাজে সম্পৃক্ত কর্মী ব্যাতিত অন্যান্যদের বিনা বেতনে ছুটিতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে পর্যটন মোটেল রাজশাহীর এর ইউনিট
ম্যানেজার এর নির্দেশে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাকে বাধ্যতামূলক মৌখিক ছুটিতে পাঠান এবং যোগাযোগ করে ডিউটিতে যেতে বলেন। সেই ছুটি চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করা হয়। ৩১ মে তিনি রিপোর্ট করলে যোগদান গ্রহণ ও অনুমোদন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাকে ফোন করে পর্যায়ক্রমে ডাকা হবে বলে জানানো হয়। পর্যটন মোটেল রাজশাহী ইউনিটে দৈনিক মজুরী ভিত্তিক ২৫ জন কার্যসহকারী রয়েছে। এরমধ্যে ১৪ জনের কার্যসহকারীরর প্রধান কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত নিয়োগপত্র রয়েছে। বাকি ১১ জন কার্যসহকারীরর কোন নিয়োগপত্র নেই। ভুক্তভোগির পদে বর্তমান ৩ (তিন) জন নিম্নমান /কার্যসহকারী আছে। যার মধ্যে কারো নিয়োগপত্র নেই।
তিনি আরো অভিযোগ করে জানান, পর্যটন মোটেলে নিয়োগপত্র বিহীন/ খণ্ডকালীন/
মৌসুম ভিত্তিক ১১ জন দৈনিক মজুরী কার্যসহ সবাইকে যথারীতি ডিউটিতে বহাল রাখা হয়েছে এবং তারা বেতন ভাতাও পাচ্ছেন। যাদের ছুটি দেয়া হয়েছিল তিনি ছাড়া সবাইকে ডিউটিতে বহাল করা হয়েছে। শুধু তাকেই গত ৫ মাস ধরে বিনা বেতনে ছুটিতে রাখা হয়েছে। কোন আয় না থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। গত ১৪ জুন ডিউটিতে যোগদানের জন্য ইউনিট ব্যবস্থাপক রাজশাহীর বরাবর এবং ৮ জুলাই সংস্থার চেয়ারম্যান বরাবর রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে পত্র আবেদন করেও কোন সাড়া পাননি
বলেও অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন, করোনাকালে সরকার কর্মী ছাটাই না করতে এবং তাদের বেতনভাতা পরিশোধ করতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু পর্যটন মোটেল রাজশাহী একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান হয়েও এই সময়ে এমন অমানবিক আচরণ কিভাবে করতে পারে। আমি কাজ না করতে পারলে পরিবার নিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়বো। তাই আমাকে যাতে কাজের সুযোগ দেয়া হয় তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে রাজশাহী পর্যটন মোটেলের ইউনিট ম্যানেজার মোতাহার হোসেন বলেন, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ পেলেই তাকে কাজে যোগদান করে দেওয়া হবে। অনন্যদের ক্ষেত্রে কেন হেড অফিসের নির্দেশ প্রয়োজন হয়নি। এ বিষয়ে কোন কথা বলেননি। তিনি আরো বলেন, ঢাকা অফিসের অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারবোনা।
এমকে