1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাজশাহী নগরীতে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা, মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৪ অপরাহ্ন

রাজশাহী নগরীতে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা, মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০

ওমর ফারুক : রাজশাহী মহানগরীতে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। রাজশাহীর দুই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হওয়া বেশির ভাগ রোগীই রাজশাহী মহানগরীর বাসিন্দা। নগরেই অবস্থান করছেন। অথচ রাজশাহী জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হওয়ার এক মাসেরও বেশি সময় রাজশাহী মহানগরীতে করোনা রোগী ছিল না। নগর ছিল করোনামুক্ত। কিন্ত হঠাৎ করেই রাজশাহী মহানগরীতে প্রথম একজন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বাড়ছে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। আর এখন তা দাঁড়িয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ জনে। এরমধ্যে

রয়েছেন পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, নার্স, ল্যাব সহকারীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। প্রতিদিনই নগরে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সরকার ঘোষিত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। মানুষ এখনো ভিড় করে নিত্যদিনের কাজ করছে। মানুষকে সচেতন করতে নগরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। তারপরও মানুষ এসবের তোয়াক্কা না করেই শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে নারাজ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী জেলায় চলতি বছরের ১২ এপ্রিল প্রথম পুঠিয়া উপজেলায় নারায়ণগঞ্জ ফেরত ১ জন করোনা পজিটিভ হয়। এরপরই একই উপজেলায়

আরো ২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার রাজশাহী জেলাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে দেয়া হয়। ওই সময় মানুষকে ঘরে থাকতে মাঠে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী কাজ করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার উদ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। সরকারি ছুটি থাকায় নগরে তেমন মানুষ চলাচল ছিলনা। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া কোন দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিলনা। মানুষও কিছুটা সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছিল। কিন্ত রোজা শুরু হওয়ার কিছুটা লোক সমাগম বাড়তে শুরু করে নগরে। জেলায় প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার ১ মাস ৩ দিন পর ১৫ মে রাজশাহী

স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা

মহানগরীতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দু’একজন প্রতিদিন শনাক্ত হচ্ছিল। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর লকডাউন শিথিল করে যানবাহন, ট্রেন ও গণপরিবহন সরকারী-অফিস আদালত খুলে দেয়া হয়। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও খুলে দেয়া হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত সবকিছু খোলা থাকছে।
পূর্বের থেকে রাজশাহী মহানগরীতে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। শুধু তাই নয় গত সপ্তাহের শুরুর দিক থেকে রাজশাহী মহানগরীতে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর থেকে রাজশাহী মহানগরীতে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা। আর এরমধ্যেই রাজশাহীর জনজীবন স্বাভাবিক

হতে শুরু করে। নগরীর বিভিন্ন জনাকীর্ন এলাকায় মানুষ সামাজিক দূরত্ব মানা তো দূরের কথা শরীরের সাথে শরীর ঘেঁষে চলাফেরা করছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা এমনকি অন্যান্য কাজেও সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজশাহী মহানগর ও জেলার ৯টি উপজেলায় ও ১৪টি পৌরসভা মিলে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৫৭ জন। এরমধ্যে রাজশাহী মহানগরীতেই রয়েছে ২৩০ জন। বাকি ৯টি উপজেলার মধ্যে বাঘা উপজেলায় ১৫ জন, চারঘাট উপজেলায় ১৫ জন, পুঠিয়া উপজেলায় ১২ জন, দুর্গাপুর উপজেলায় ৭ জন, বাগমারা

উপজেলায় ১৩ জন, মোহনপুর উপজেলায় ২৩ জন, তানোর উপজেলায় ১৭ জন, পবা উপজেলায় ২৩ জন ও গোদাগাড়ী উপজেলায় ২ জন রয়েছে। এরমধ্যে ৭ জন মারা গেছে ও ৫২ জন সুস্থ হয়েছেন এবং বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জেলায় শনাক্ত হওয়া রোগীর দুই ভাগই রাজশাহী মহানগরীর। বিভাগে রাজশাহী করোনা শনাক্তের সংখ্যায় এখন ৩ নম্বরে অবস্থান করছে। যদিও ১ নম্বরে থাকা বগুড়া

জেলার তুলনায় রাজশাহীতে রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। গত ৫ দিনে রাজশাহী মহানগরীতে ১০০ এর উপরে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ছিল ৩১ জন, বুধবার ৩১ জন, মঙ্গলবার ৩৫ জন, সোমবার ৩২ জন ও রোববার ২৫ জনের উপরে শনাক্ত হয়।
এর আগেই রাজশাহী ইয়োলো জোনে প্রবেশ করে। শনাক্তের হারে ইতিমধ্যেই রাজশাহী মহানগর রেড জোনে চলে গেছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখইন লকডাউনের কথা ভাবছেনা। নগরে এলাকার রোগীর সংখ্যা অনুযায়ী পৃথক পৃথকভাবে লকডাউন হতে পারে। তবে করোনা সংক্রমিত বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহীর সরকারী-বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকগুলোতে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। বেশ কয়েকজন চিকিৎসকও আক্রান্ত হয়েছেন। এখন করোনা সংক্রমিতের হার নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবুও স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মানতে অনীহা মানুষের মধ্যে।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্ব্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, রাজশাহী মহানগরীতে যেহেতু প্রতিদিন করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাই এটি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলা হয়েছে। এখনো রাজশাহী ভালো আছে অন্যান্য স্থানের তুলনায়। প্রয়োজনে বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে হবে ও স্বাস্থ্যবিধি মনে চলতে হবে।

এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST