নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ধর্ষণ মামলার আসামী ওমর কৃষ্ণ প্রাচীর টপকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৮ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার কারাগার থেকে আসামী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার সময় কর্তব্যরতদের সনাক্ত করে কারা কর্তৃপক্ষ এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। বরখাস্তকৃতরা ও যে ৮ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়েছে তারা কারাগারে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তবে কারো নাম জানা যায়নি। এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, গত সোমবার ঘটনা শোনার পরই কারা কতৃপক্ষকে
বিষয়টি ভালোভাবে তদন্ত করে জড়িতদের সনাক্ত করার জন্য বলেছিলাম। মঙ্গলবার আসামীর পালিয়ে যাওয়ার সময় কারা ডিউটিরত ছিল আর কেন তারা বিষয়টি জানায়নি এসব বিষয় মাথায় রেখে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ১২ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামী আটক হওয়ার পরে জানিয়েছে, সে নিজেই দড়ির সাহায্যে প্রাচীর টপকে পালিয়েছিল। ঘটনাটি
আরো ভালোভাবে তদন্ত করা হবে। উল্লেখ্য, গত সোমবার রাজশাহীর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ওমর কৃষ্ণ নামের এক ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে। সোমবার সকালে সে পালিয়ে যায়। দুপুরে তাকে নগরীর হড়গ্রাম রেললাইনের ধার থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি তদন্ত মেহেদী
হাসান জানিয়েছিলেন, ওমর কৃষ্ণ ২০১১ সাল থেকে রাজশাহী কারাগারে ছিলেন। মরিয়ম নামের এক স্কুলশিক্ষিকা গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হন তিনি। জেলখানা থেকে সোমবার সকালে পালিয়ে যায়। পরে তাকে হড়গ্রাম রেললাইনের ধার থেকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
আর/এস