বিশেষ প্রতিবেদক :
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দি নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ। রাজশাহী কারাগারে বন্দি সংখ্যার ধারণ ক্ষমতা যা রয়েছে তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক বন্দি রয়েছে। এ কারণে সার্বিক দিয়েই কারা কর্তৃপক্ষকে হিমসিম খেতে হচ্ছে। বন্দিদের খাবার আগের মতো দিতে পারলেও কারাগারে আবাসন সমস্যার প্রকট সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া দেখভালেও ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে বলে কারা সূত্র জানায়।
রাজশাহী কারাগার সূত্রে জানা গেছে, দেশের অন্যতম এই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৪৬০ জন বন্দির ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্ত বর্তমানে কারাগারে বন্দি সংখ্যা রয়েছে ৪ হাজারেরও বেশি সংখ্যক বন্দি। বন্দি সংখ্যা নিয়ে বিপত্তি হয়েছে। কারণ রাজশাহী কারাগারে ৪ হাজার বন্দি থাকার মতো আবাসন সুবিধা নেই। এ নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপনাতেই হিমসিম খাচ্ছে। ধারণ ক্ষমতার স্থানেই ঠাসাঠাসি করে রাতের বেলা সবাইকে ঘুমাতে হয়। আর খাওয়ার বেলাতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
কারা সূত্রটি আরো জানায়, দেশব্যাপী মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে কারাগারে বন্দির সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। দিনের পর দিন বন্দি সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতে করে বিপাকের মধ্যে পড়েছেন কর্তৃপক্ষ। কারণ কারাগারে ১ হাজার ৪৬০ বন্দি সংখ্যা থাকতে পারবে। এরমধ্যে সাজাপ্রাপ্ত আসামী থাকেন ৬০০/৭০০ জন আর বাকি যারা তাকে তারা হাজতি। কিন্ত সংখ্যা বেড়েই কয়েকগুণে দাঁড়িয়েছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হওয়ার পর আরো কিছু আসামী কারাগারে গেছে। সবমিলিয়ে এত বন্দি সংখ্যা নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ।
এত লোকের খাওয়া ও আবাসন সমস্যায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।এ বিষয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দির ধারণ ক্ষমতা যা তার থেকে অনেক বেশি বন্দি সংখ্যা রয়েছে। এতে সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটু সমস্যাতো হবেই।
আবাসন সমস্যাতো আছেই। সাথে খাওয়ার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বন্দি সংখ্যা যা থাকবে তার সবার খাওয়ার দিতে হবে। ধারণ ক্ষমতায় যে সংখ্যক বন্দি থাকে তাদের খাবারই সবাইকে খাওয়ানো হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না খাওয়া সবাইকে পরিমাণ মতোই দেওয়া হয়। এ নিয়ে সমস্যা হয় না।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।