নজরুল ইসলাম জুলু : ৫ই আগষ্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রশাসনকে আওয়ামী দোসর মুক্ত ও প্রশাসনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার দাবি উঠতে থাকে বিভিন্ন মহল থেকেই। কিন্তু, প্রশাসনের মধ্যে এখনো ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী প্রেতাত্মারা বিভিন্ন কৌশলে দেশ সংস্কারকদের নজর এড়িয়ে দিব্যি স্ব স্ব পদে কাজ করে যাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের আওয়ামী ঘরানার দুই ‘বড় বাবু’ ডিআইজি প্রিজন্স কামাল হোসেন এবং বিভিন্ন সময়ে নানান বিতর্কের সাথে যুক্ত থাকা বিতর্কিত জেল সুপার রত্না রায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নানান অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ভয়ংকর সব কার্যকলাপের সাথে যুক্ত রয়েছেন। বিভিন্ন অভিযোগ থাকার পরও সংস্কারের অংশ হিসেবে এদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা যায়।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার অভ্যন্তরের একাধিক সূত্রের অভিযোগ কামাল হোসেন ও রত্না রায় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠভাজন হওয়ায় তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কারাগারে পিসি বাণিজ্য, বন্দীদের খাবার বাণিজ্য থেকে শুরু করে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে সরকারি অর্থ হরিলুট করেছেন। সম্প্রতি রাজশাহীকেন্দ্রীয় কারাগারের বিভিন্ন সূত্র হতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরের একাধিক অনিয়মের খবর আমাদের কাছে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে জেল সুপার রত্না ও ডিআইজি প্রিজন্স কামাল জুটি তাদের অনুগত কারা বাহিনী দ্বারা পিসি ব্যবসা পরিচালনা করেন এবং বন্দীদের জন্য বরাদ্দকৃত ডাল, মাছ-মাংসে ভাগ বসান। এছাড়াও বন্দীদের জন্য রান্না করা খাবার ডিআইজির গরু ছাগলের খামারে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বন্দিরা মুঠোফোন মারফত জানিয়েছেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের পিসি’র খাবারের মূল্য বাইরের চাইতে ৫০- ৬০ ভাগ বেশি এবং খাবারের মানও অত্যন্ত নিম্নমানের।
গত ৫ই আগষ্ট বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা ছাত্রলীগের ডিআইজি প্রিজন্স কামালের লুটপাট ও আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে জামায়াত-বিএনপির বন্দীদের উপর নির্যাতন করার অভিযোগে কারাগারের প্রধান ফটকে প্রবেশ করে জানালা দরজা ভাঙচুর করে। আওয়ামী মদদপুষ্ট এই ডিআইজিকে শিঘ্রই অপসারণ করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে উপর মহলের এমন আশ্বাসে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ফিরে আসে বলে জানা যায়। এই ঘটনার কিছুদিন পরই দূর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের জন্য চরম বিতর্কিত ও আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট হিসেবে অভিযুক্ত জেল সুপার রত্না রায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে যোগদান করেন। এরপরে আওয়ামী ঘরানার এবং মুজিববাদী আদর্শে আদর্শিত কামাল ও রত্না জুটি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারকে আলাউদ্দিনের চেরাগ বানিয়ে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারা অভ্যন্তরীণ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে। দুর্নীতি ও অনিয়ম ছাড়াও এইবার রত্না রায়ের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের একাধিক সূত্র আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে, কারাগারের ভেতরে দাড়িওয়ালা বন্দী ও দাড়িওয়ালা কারারক্ষীরা বিভিন্নভাবে জেল সুপার রত্না রায়ের নির্দেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় কে কেন্দ্র করে দুর্নীতি, অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির ঘটনা এই নতুন না।
রত্না রায় যেই জেলখানাতেই যোগদান করেছেন সেখানেই নিত্যনতুন বিতর্ক ও কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছেন। তার কেলেঙ্কারির ফিরিস্তি বেশ লম্বা। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ দেশের আর্থিক খাতের কেলেঙ্কারির দায়ে বন্দি থাকা হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদকে কারাবিধি লঙ্ঘন করে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নিয়ে অবৈধভাবে নারীসঙ্গীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার অভিযোগে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হোন রত্না রায়।
উক্ত ঘটনায় সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় কে ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হয়। ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্তকৃত সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়কে পরবর্তীতে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু, কেলেঙ্কারি সেখানেও তার পিছু ছাড়েনি। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে যোগদানের পর তিনি আরেকটি কেলেঙ্কারি করে বসেন। বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি সুজনের সাথে এক নারী কারারক্ষীর প্রেম করার সুযোগ করে দেন এই জেল সুপার। কারাগারে মাদক সাপ্লাই সহ বহুবিধ অপরাধের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণও মেলে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে জেল সুপারের দ্বায়িত্বে থাকাকালীন পুকুরের মাছ ও গাছ, সরকারী সম্পদ এবং মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রত্না রায়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয় বলে জানা গেছে। ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে রত্না রায় অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন এমন অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রত্না রায়ের স্বামী একজন বেকার হওয়া সত্বেও তিনি দামী গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ান বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন কারাগারে দ্বায়িত্বপালন কালে নানান অভিযোগ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তাকে বিভিন্ন কারাগারে বদলি করা হলেও কখনোই তার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিভিন্ন অপরাধের আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠভাজন হওয়ায় বারবারই নানান কৌশলে তিনি পার পেয়ে গেছেন বলে জানা যায় ।
এইদিকে রত্না রায়ের মতই অতীতে একাধিক বিতর্কিত ঘটনার সাথে যুক্ত ছিলেন ডিআইজি প্রিজন্স কামাল হোসেন। গত বছর জুলাই মাসে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলায় বগুড়ায় ফাঁসির আসামি পালানোর অভিযোগ উঠে। এছাড়াও কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে কারারক্ষীদের বদলি, প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছিল। কামাল হোসেন ১০ জানুয়ারি, ২০২৩ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে যোগাদান করেন বলে কারা অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী জানা যায়। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই তিনি কারা অভ্যন্তরে খামার পরিচালনা করে আসছেন বলে জানা গেছে। তার খামারে আছে প্রায় ২৫টি গরু। এদেরকে খাবার খাওয়ানো থেকে শুরু করে গোসল করানো এবং খামার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ৮-১০ জন সরকারি কর্মচারী। সরকারি দফতরের ব্যারাকে বিক্রির উদ্দেশ্যে এভাবে পশু পালন এবং সেই পশু দেখভালে সরকারের বেতনভুক্ত কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার অভ্যন্তরে বন্দি দূধর্ষ সন্ত্রাসীদের আর্থিক সুবিধা নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারক্ষীদের সাহায্যে মোবাইল ফোনে বন্দীদের সাথে স্বজনদের কথা বলিয়ে দেয়ার নামেও চালানো হচ্ছে অর্থ বাণিজ্য৷ সম্প্রতি, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ডাবলু সরকার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোন মারফত দলের নেতাকর্মীদের সক্রীয় করতে রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায় কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। ডাবলু সরকারকে প্রতিনিয়ত তার বাসার খাবারও সরবরাহ করা হতো বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারা অভ্যন্তরের বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ও কারাগারে কর্মরত একাধিক সূত্র জানিয়েছেন। এই ঘটনার পর ডাবলু সরকারকে অন্য কারাগারে হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়াও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ‘অফিস’ দেখার নামে বিশেষ ব্যবস্থায় সাক্ষাতের নামে বন্দীর স্বজনদের কাছে ১/৩ হাজার টাকার বিনিময়ে স্লিপ বিক্রয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে স্লিপে এই অর্থে ল্র অঙ্ক বসানো থাকে না। আরো অভিযোগ রয়েছে কারা হাসপাতালে চিকিৎসার নামে বন্দী বিক্রি হয় টাকার বিনিময়ে। বন্দিদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য মাসে দিতে হয় ১০- ২০ হাজার টাকা। প্রকৃত অসুস্থ বন্দীদের চিকিৎসা না দিয়ে টাকার বিনিময়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সুস্থদের, যাতে তাঁরা আরামে থাকতে পারেন। কারা সূত্র মোতাবেক, কারাগারের ভেতরে মাদকসহ নিষিদ্ধ মালামাল দেদারসে প্রবেশ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না ।
কারাগারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গতবছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণলায়ের পক্ষ থেকে গঠিত একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও দুর্নীতি অনিয়মের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাজশাহী কারাগারের ক্যানটিন থেকে মাসিক আয় ১৫ লাখ টাকা হলেও কাগজ-কলমে দেখানো হয়েছিল ৬ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৬ টাকা। এ ছাড়া বন্দী কল্যাণে ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮৯ টাকা ও স্টাফ কল্যাণে খরচ দেখানো হয়েছিল ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৪৪ টাকা। প্রকৃতপক্ষে এই টাকা এসব ক্ষেত্রে খরচ করা হয়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিধি না মেনে বিল-ভাউচার বানিয়ে খরচ দেখিয়ে সেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। কারাগারে বিক্রি হয় এমন ৩৫টি পণ্যের মধ্যে ৩৩টির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া হয় বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে। বন্দীদের নিম্নমানের খাবার প্রদান সহ বন্দীদের খাবার হিসেব অনুযায়ী ১৪৫ গ্রাম ডাল দেওয়ার কথা থাকলেও ৫০ গ্রাম করে দেওয়া হয়। কেউ নিম্নমানের খাবার দেওয়ার প্রতিবাদ করলে নির্যাতন করা হয়। কারাগারের জমিতে হওয়া গাছের ফল বন্দীদের না দিয়ে বাইরে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, কারাগারের সাবেক জেল সুপার আব্দুল জলিল ও সাবেক জেলার নিজাম উদ্দিন বন্দীদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাত নামে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ টাকার আদায় করেছেন। ডিআউজি প্রিজন্স মোঃ কামাল হোসেন,সাবেক জেল সুপার আব্দুল জলিল ও জেলার নিজাম উদ্দিন বন্দীদের মধ্যে খাবার বিক্রির নামে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এছাড়াও কারারক্ষী নিয়োগেও ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন এই তিন কারা কর্মকর্তারা। এইভাবে কারা অভ্যন্তরে দুর্নীতি করে এই তিন কর্মকর্তা শত শত কোটি টাকা কামিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতির এইসব ঘটনায় এই তিন কারা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে কারারক্ষী মনির হোসেন অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
একাধিক সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরও এখনো বিতর্কিত এই দুই কারা কর্মকর্তা ডিআইজি প্রিজন্স কামাল হোসেন ও জেল সুপার রত্না রায় বহাল তবিয়তে কর্মরত রয়েছেন। বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ‘লঘু দন্ড’ স্বরূপ শুধুমাত্র এক জেল থেকে অন্য জেলে ‘বদলি’ করা হয়েছে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও দাড়ি-টুপিওয়ালেদের নির্যাতনের অভিযোগ প্রশ্নে জেল সুপার রত্না রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এইসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, ” এই ধরনের যে বক্তব্য আসছে তা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছেন। তারা যদি কোনো কিছু দেখতেন তাহলে আমাকে জানাতেন।”
দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য সহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রশ্নে ডিআইজি কামাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রশ্ন শুনে তিনি প্রথমে কল কেটে দেন। পরবর্তীতে তিনি এই প্রদিবেদককে এসএমএস প্রেরণ করে লিখেন” নিউজ করলে কংক্রিট ও বস্তুনিষ্ঠ নিউজ করুন কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু, কংক্রিট ও বস্তুনিষ্ঠ (যথাযথ প্রমাণভিত্তিক বা ভেরিফায়েড) না হলে তা কিন্তু মানহানি তথা ব্যক্তিভাবমুর্তি সর্বপরি মর্যাদাহানির পর্যায়ে চলে যায় সেটাও রাষ্ট্রের ‘তৃতীয় চোখ’ ও ‘ চতুর্থ স্তম্ভ’ হিসেবে যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেটাও আমলে নেয়াটাও খুব জরুরি।”
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে তার কোনো বক্তব্য আছে কিনা জানতে তাকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
কামাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ সূত্র মোতাবেক জানা যায় আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট হলেও তিনি বর্তমানে নিজেকে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতাকর্মীদের আত্মীয় পরিচয় দেন। বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে অভিযুক্ত এই সব কারা কর্মকর্তারা এখনো সংস্কার কার্যক্রমের ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছেন।
বিএ..