নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী জেলা রাজশাহীর ৯টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর শারীরিক ও সরকারী বাসভবনের নিরাপত্তায় সশস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী, পবা, মোহনপুর, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, বাগমারা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলার প্রত্যকটি উপজেলার ইউএনওদের বাসভবনের সামনে ৪ জন করে সশস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শারীরিক ও বাসভবনের নিরাপত্তা প্রদান
করবে। শুক্রবার বিকেল থেকে জেলার ৯টি উপজেলায় একযোগে ইউএনও’র বাসভবনের আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। শনিবার সকালে রাজশাহীর তানোর উপজেলার ইউএনও’র বাসভবনের সামনে ৪ জন সশস্ত্র আনসার সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। শুধু তানোর নয় অন্যান্য উপজেলাতেও আনসার সদস্যরা ইউএনওর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। আনসার সদস্যদের পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি পালন করতে হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, শুক্রবার দুপুর থেকে মূলত জেলার ৯টি উপজেলায় সশস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। প্রত্যেক
উপজেলার ইউএনও’র শারীরিক ও সরকারী বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। উপজেলার ইউএনও বাসভবন, অফিস ও এর বাইরে যদি কোথাও যায় সেখানেও আনসার সদস্যরা সাথে যাবেন। ইউএনওর নিরাপত্তা দেয়ায় হবে আনসার সদস্যদের কাজ। তিনি আরো বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তে সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীতে ইউএনও’র নিরাপত্তায় আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেমবর দিবাগত রাত ৩ টার দিকে
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইনএনও) এর সরকারী বাসভবনে প্রবেশ করে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) জাহাঙ্গীর আলম (৪২) সহ আরো কয়েকজন হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনার পর সারাদেশের ইউএনওদের নিরাপত্তায় সরকার সশস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এমকে