নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলগেট এলাকার আশেপাশের রাস্তা ও ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়রা। এরপরও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন বা পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে তারা রাস্তা দখল করে যানবাহন ও পথচারী চলাচলে প্রতিবন্ধীকতা সৃষ্টি করে আসলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বা দোকানগুলো উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছেনা বলে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রেলগেট থেকে সাহেব বাজার, মালোপাড়া, সোনাদিঘীর মোড় ও গণকপাড়া যাওয়ার এটি প্রধান রাস্তা। তাই এ রাস্তাতে অন্য রাস্তার থেকে যানবাহন ও পথচারীর চাপও বেশি। এখানকার দুই ধারের রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়রা। একপারে মূল রাস্তা দখল করে বসানো হয়েছে ফাস্টফুড ও চায়ের দোকান এবং অন্যপারে বসানো হয়েছে বিভিন্ন কাপড়ের দোকান। ফলে কোন পারের ফুটপাত চলাচলের জন্য ব্যবহার করতে পারেনা পথচারীরা।
রাস্তার একদিকে যে ফাস্টফুডের দোকান বসানো হয়েছে সেদিকে মুল রাস্তায় দোকান ও ফুটপাতে খরিদদার বসার জন্য বেঞ্চ রাখা হয়েছে। রাস্তা ও ফুটপাত উভয় দখল করে রাখা হয়েছে। তার পাশেই রয়েছে ডিম ও পান সিগারেট ও চায়ের দোকান। সেই দোকানগুলোতেও একই অবস্থা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব দোকানিদের স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে মাসোয়ারা দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। এরা রাস্তা ও ফুটপাত উভয়ই দখল করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয় না। কারণ এর বিনিময়ে তাদের মাসোয়রা দেওয়া হয়।
এদিকে, ওই ফুটপাতের দোকানে খেতে আসা এক খরিদদার অভিযোগ করে বলেন, ফুটপাতের দোকান হলেও এখানে চড়া দাম ধরা হয়। ওই খরিদদার নাম না প্রকাশ করার শর্তে আরো জানান, খরিদদার সাথে খারাপ আচরণ করে দোকানিরা। অনেক সময় টাকা-পয়সা নিয়ে গালি-গালাজও করে থাকে দোকানিরা।
রাস্তার মধ্যেই দোকান হওয়ায় খাবারগুলোতে ধুলা, বালি সহ অন্যান্য জিনিস পড়ে নোংরা করে দেয়। যাতে স্বাস্থ্যহানি ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
স্থানীয়রা ওই সব ফুটপাতের দোকান উঠিয়ে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আব্দুল্লাহ নামের এক পথচারী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন তিনি ওই পথ দিয়ে অফিসে যান। দুই পারের কোন পারের ফুটপাত তিনি ব্যবহার করতে পারেন না। অনেক সময় ফুটপাত ব্যবহার করতে গেলে দোকানিরা গালি দেয়। কারণ খরিদদার বসার জন্য ফুটপাতের উপর তাদরে ব্রেঞ্চ রয়েছে।
আরেক নারী পথচারী অভিযোগ করে বলেন, আমি এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করি। কিন্তু ফুটপাত তো দুরের কথা রাস্তাই ব্যবহার করতে পারি না। আর ফুটপাতে উঠলে দোকানিরা উপর দিয়ে যেতে নিষেধ করেন। তাই তিনি রাস্তার দুই পাশের অবৈধ দোকান উঠিয়ে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এ বিষয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সোহরাওয়ার্দী বলেন, উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। কিন্তু আবার এসে বসে যায়। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে