নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর মোহনপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় প্রতিপক্ষের হামলায় মিরাজুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের বড় ভাই হুমায়ুন আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মোহনপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন বলেন, রোববার রাতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে একই দিন নির্বাচনী সহিংসতায় জেলার তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নে মোদাচ্ছের আলী (৪০) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতা নিহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। গতকাল সোমবার বিকালে মামলা না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগ নেতা নিহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
তবে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। মামলা হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ভোটের দিন সকাল সাড়ে ১০টা দিকে মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের পাকুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিপক্ষের হামলায় মিরাজুল ইসলাম (৩০) নামে একজন মারা যান। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিহত মিরাজুলকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করলেও পরিবারের পক্ষ থেকে সে কোনো রাজনীতি করতেন না বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে রবিবার দুপুরে তানোর উপজেলায় পাঁচন্দর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিপক্ষের হামলায় মোদাচ্ছের আলী নামে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতা নিহত হন। তিনি ৮নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
খবর২৪ঘণ্টা/জেএন