নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীর বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ। বেশ কয়েকদিন আগে থেকে রাজশাহীর বাজারগুলোতে তরমুজের দেখা মিললেও দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়েছে। নগরীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা। অগ্রিম আসায় এ তরমুজ বছরের অন্য সময়ের মতো বিক্রি হচ্ছেনা বলেও ক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে দেখতে টকটকে লাল না হলেও খেতে সুস্বাদু বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে রাজশাহী মহানগরীর বাজারগুলোতে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ উঠতে শুরু করে। ওই সময়ে তরমুজের দাম যেমন ছিল বর্তমানেও তরমুজের দামের কোন পরিবর্তন হয়নি। শুরু থেকে এ
পর্যন্ত প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমেওনি ও বাড়েনি। রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার, কোর্ট স্টেশন বাজার, রেলগেট, নওদাপাড়া বাজার, লক্ষীপুর বাজার, শিরোইল কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলোতে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব তরমুজ আসছে সিলেট থেকে। অন্যান্য বছর বরিশালের তরমুজ অগ্রিম আসলেও এবার রাজশাহী মহানগরীর বাজারগুলোতে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। এবার আগে এসেছে সিলেটের তরমুজ। বরিশালের তরমুজ আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমে যাবে বলে বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এখন সিলেটের তরমুজ অগ্রিম আসায় ৫০ টাকা
কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দাম বেশি হওয়ার কারণে এই তরমুজ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই থেকে যাচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা তরমুজ ছুঁতেও পারছেন না। তরমুজ কিনতে আসা আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে এসেছে তরমুজ। কিন্তু এখনও দাম কমেনি। বেশি দাম হওয়ার কারণে আমরা তরমুজ কিনতে পারছিনা। আরেক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এত দাম হলে তরমুজ কেনা যায় কি? কারণ একটা তরমুজতো আর দু’এক কেজি নয় তাই তরমুজের দাম না কমলে তারা এ ফল কিনে খাওয়া যাবে না। বাজারে বেশি আমদানি হওয়ার পর দাম কমলে তরমুজ কিনে খাবো। তবে এক তরমুজ ক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এখনকার তরমুজের
তেমন স্বাধ নেই। মৌসুমের তরমুজে বেশি স্বাধ। রোববার বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজারে গিয়ে দেখা যায় সিলেট থেকে আমদানি হয়ে আসা অগ্রিম তরমুজ বিক্রি করছেন বেশ কয়েকজন ক্রেতা। বিক্রেতা বেশ কয়েকজন থাকলেও খুব কম ক্রেতাই তরমুজ কিনছেন। বিক্রেতার সামনে কেটে রাখা তরমুজ দেখা যায় মৌসুমি তরমুজের মতো লাল নয়। তবে বিক্রেতারা বলছেন, দেখতে যেমন হোক খেতে সুস্বাধু। স্বাধের কোন পরিবর্তন নয়। সাহেব বাজারের এক তরমুজ বিক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তরমুজ বিক্রি করছি। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ টাকায়। এসব তরমুজ সিলেট থেকে আসছে। এখনো বরিশালের তরমুজ আসা শুরু করেনি। স্বাধ কেমন জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, দেখতে একটু লাল কম হলেও স্বাধের কোন পরিবর্তন নাই। খেতে ভালো লাগবে। তরমুজ বেশি আমদানি হওয়া শুরু হলে দাম কমে যাবে।
এমকে