ওমর ফারুক
রাজশাহী মহানগরীর বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ। বেশ কয়েকদিন আগে থেকে রাজশাহীর বাজারগুলোতে তরমুজের দেখা মিললেও দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়েছে। নগরীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫৫ টাকা পর্যন্ত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ উঠতে শুরু করে।
ওই সময়ে তরমুজের দাম যেমন ছিল বর্তমানেও তরমুজের দামের কোন পরিবর্তন হয়নি। দাম কমেওনি ও বাড়েনি। রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার, কোর্ট স্টেশন বাজার, রেলগেট, নওদাপাড়া বাজার, লক্ষীপুর বাজার, শিরোইল কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলোতে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার তরমুজের দাম বেশি বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ও ৫৫ টাকায়। এসব তরমুজ আসছে বরিশাল থেকে। আর দাম বেশি হওয়ার কারণে এই তরমুজ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই থেকে যাচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা তরমুজ ছুঁতেও পারছেন না।
তরমুজ কিনতে আসা আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অনেক আগেই বাজারে এসেছে তরমুজ। কিন্তু এখনও দাম কমেনি। বেশি দাম হওয়ার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষজন তরমুজ কিনতে পারছেননা।
আরেক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এত দাম হলে তরমুজ কেনা যায় কি? কারণ একটা তরমুজতো আর দু’এক কেজি নয় তাই তরমুজের দাম না কমলে তারা এ ফল কিনে খাওয়া যাবে না।
নগরীর লক্ষীপুর বাজার এলাকার এক তরমুজ বিক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে যেসব তরমুজ বিক্রি হচ্ছে তা বরিশাল থেকে আসছে। পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারেও দাম বেশি। প্রতিদিন কত কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুব একটা বেশি বিক্রি হয়না। কারণ সব এই দামে সব শ্রেণীর মানুষ তরমুজ কিনতে পারছেননা।
আরেক আড়ৎদারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বেশি দামে তরমুজ বিক্রি করতে হচ্ছে।
তরমুজের দাম বেশি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক আড়ৎদার বলেন, খুব একটা বেশি দাম কমার সম্ভাবনা নেই। কারণ সবকিছুন যেভাব দাম বাড়ছে সেই তুলনায় দাম অনেক কমই আছে। তারপরও বাজারে বেশ তরমুজ আসলে দাম কমতে পারে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে