ঢাকাশনিবার , ১৯ অক্টোবর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজশাহীর বাজারে এখনো অস্বাভাবিক নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম

khobor
অক্টোবর ১৯, ২০১৯ ৭:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক :
টানা বৃষ্টির অজুহাতে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার পর প্রায় মাস পেরিয়ে গেলেও কমেনি দাম। গত মাসের তুলনায় বাজারে পর্যাপ্ত সবজির আমদানি হচ্ছে। তারপরও অজ্ঞাত কারণে সবজির দাম না কমে যেন বেড়েই চলছে। রাজশাহী মহানগর ও আশেপাজের উপজেলার বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে। স্বাভাবিক দামের চেয়ে প্রত্যেক ধরণের সবজি বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ দামে এসব সবজি কিনছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে পটল, করলা, লাউ, কচু, পুুঁইশাক, কাকরল, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, পেঁপে, লাল শাক, পাট শাক, সবুজ শাক, বেগুন, কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপিসহ অন্যান্য সবজির দাম গত প্রায় দেড়

মাস ধরে একই হয়েছে। এসব সবজির দাম কমেনি। সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর কাঁচা বাজারগুলোতে পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, করলা ৬০ টাকা, লাউ ছোট-বড় ভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচু ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পুুঁইশাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, কাকরল ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লাল শাক ৪০ টাকা, পাট শাক ২৫ থেকে ৩০, সবুজ শাক ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০ ও ফুলকপি প্রতি কেজি ৬০ টাকা কেজি। গত এক মাস আগেই প্রতেকটি সবজির দাম এর অর্ধেক ছিল। সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষজন

বিপাকে পড়েছেন। এ ছাড়া পেঁয়াজের দামও বেড়েছে দ্বিগুণ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। নগরীর কোর্ট স্টেশন বাজারে সবজি কিনতে আসা শহিদুল নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, যেভাবে সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে তাতে কেনাকাটা করাই দায় হয়ে পড়েছে। গত প্রায় দেড় মাস ধরে একই অবস্থা থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণে কোন দৃশ্যমান অভিযান করা হয়নি। ব্যবসায়ীদের নিয়মিত মনিটরিং করলে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় ইচ্ছামত দাম বাড়াতে পারবে না। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিংয়ের দাবি জানাচ্ছি।

আশরাফুল নামের আরেক ক্রেতা বলেন, আমরা দিনমজুর করে যে টাকা পাই তাতে ভালোভাবে বাজার করা যায়না। একটা কিনলে আরেকটা কিনতে পারি না। সবজির দাম দীর্ঘ সময় ধরে অস্বাভাবিক রয়েছে। এটা স্বাভাবিক করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপ দাবি করছি। শুধু তারাই নয় বাজার করতে আসা সব ক্রেতাই সবজির দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, টানা বৃষ্টিতে সবজি গাছ মরে গিয়ে আমদানি কমে যাওয়ার পর থেকেই দাম বেড়ে যায়। পাইকারি বাজারে দাম বেশি তাই খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে। আমদানি বেশি হলে দাম কমে যাবে। বাজারে সবজির স্বল্পতা থাকলে দাম কমবে না। নিজের ইচ্ছাতেই দাম বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই।

আর/এস

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।