নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলার বাজারগুলোতে আবারো লাগামহীনভাবে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। ভারত পেঁয়াজ বন্ধের পর এক লাফে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হওয়ার পর প্রশাসনের অভিযানে দাম কমে স্বাভাবিক হলেও তা স্থায়ী হয়নি। কয়েকদিন পর থেকে আবারো পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। প্রতি কেজি ৭০ টাকা থেকে শুরু করে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের দাম বাড়ায় দিনমজুর ও কম আয়ের মানুষ সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক মাস আগে হঠাৎ করে ৩২/৩৫ টাকা কেজির পেঁয়াজের দাম বেড়ে উঠে ৭০ টাকা। এর কিছুদিন পর হঠাৎ ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ
আমদানি বন্ধ করে দেয়। আমদানি বন্ধের খবরে মাত্র একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে উঠে ১১০ টাকা কেজি। দাম বাড়ার পর প্রশাসন দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালালে আবার স্বাভাবিক হয়ে পেঁয়াজের দাম হয় প্রতি কেজি ৭০ টাকা। কয়েকদিন দাম স্বাভাবিক থাকলেও আবার ১০ টাকা করে বাড়তে থাকে। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে উঠেছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ কম আয়ের মানুষজন ও দিনমজুরগণ। শুধু পেঁয়াজই নয় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম না কমে বাড়ছে বলেও ক্রেতাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার নগরীর বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। নগরীর কাঁচা বাজারগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা
গেছে। শুক্রবার নগরীর কোর্ট স্টেশন বাজারে সবজি কিনতে আসা রাহিম নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, যেভাবে পেঁয়াজসহ সবজির দাম বেড়েছে তা আমাদের মত কম আয়ের মানুষের সাধ্যের বাইরে। যেভাবে দাম বেড়েছে সেভাবে আয় বাড়েনি। যারা পেঁয়াজ গুদামজাত করে দাম বাড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। যাতে কম সময়ের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসে।
আব্দুল্লাহ নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা প্রয়োজন। নিয়মিত মনিটরিং করলে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় দাম বাড়াতে পারবেনা ও গুদামজাত করতে পারবে না। কয়েকজন সবজি ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। কম দামে পেঁয়াজ পেলে কম দামেই বিক্রি করা হবে। নিজের ইচ্ছায় দাম বাড়ানো হয়নি।
আর/এস