1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাজশাহীর বাইপাস-মাহেন্দ্রা-দুর্গাপুর রাস্তাটি মাটির রাস্তায় পরিণত, দুর্ভোগ! - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ১৫ জানয়ারী ২০২৫, ০৪:০২ অপরাহ্ন

রাজশাহীর বাইপাস-মাহেন্দ্রা-দুর্গাপুর রাস্তাটি মাটির রাস্তায় পরিণত, দুর্ভোগ!

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৯ মারচ, ২০২১
বাইপাস পুলিশ ফাড়ির মোড় থেকে মাহেন্দ্রা বাজার যাওয়ার রাস্তার দৃশ্য

হঠাৎ করে রাজশাহীর বাইপাস পুলিশ ফাঁড়ির মোড়-মাহেন্দ্রা থেকে দুর্গাপুর উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি দেখলে মনে হবে এটি মাটির কাঁচা রাস্তা। কখনোই পাকা হয়নি। পুরো রাস্তাজুড়ে ধুলো আর ধুলো। রাস্তার কোথাও কোনো ইট-বালির ছোঁয় নেই। রাস্তাটি যে কখনো পাকা ছিল তাও দেখে বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ রাস্তাটি ইটভাটার বড় বড় ট্রাক আর অবৈধ যানবাহনের চাপে ভেঙ্গে গিয়ে খানাখন্দে ভরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অনেক রাস্তা ভেঙ্গে গেলে পাকা রাস্তার কিছুটা ছোঁয়া থাকে। এই রাস্তার বেলায় তা একেবারেই ভিন্ন চিত্র। এই রাস্তা দেখে তা কোনোভাবেই বোঝার উপায় নেই। এখন এই রাস্তা দিয়ে কেউ তেমন যানবাহন নিয়ে যায়না। এ কারণে রাজশাহী মহানগরীর

অদূরে কাটাখালি বাজার থেকে দুর্গাপুরগামী মানুষকে বাইপাস থেকে মাহেন্দ্রা পর্যন্ত যে রাস্তা এড়িয়ে ঘুরে যেতে হয়। স্থানীয় অটোরিক্সা, ভ্যান ও অন্যান্য চালকরা অঘোষিতভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। সোজা রাস্তা দিয়ে যেতে না পেরে ঘুরে যাওয়ার কারণে যাত্রীদের গুনতে হয় দ্বিগুণ ভাড়া। এভাবেই চলছে কয়েক বছর ধরে। তবুও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি রাস্তাটি। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় ৫ থেকে ৬ বছর ধরে এই রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষ মেরামতের জন্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। রাস্তাটি দ্রæত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

সরজমিনে ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর কাটাখালি বাজার থেকে বাইপাস পুলিশ ফাঁড়ির মোড় ও মাহেন্দ্রা বাজার হয়ে দুর্গাপুর উপজেলা সদরে যাওয়ার এই একমাত্র রাস্তা তৈরি হয়েছিল অনেক কয়েক বছর আগে। এই রাস্তার পাশে রয়েছে রহমান জুট স্পিনার্স (প্রা) লিমিটিড, যমুনা কোল্ড স্টোরেজ-২ এর মতো বেশ কিছু বড় বড় প্রতিষ্ঠান। যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন কয়েক হাজার মানুষ। মিলে কাজ করা শ্রমিক ও স্থানীয়দের এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া চলাচল করার জন্য অন্য কোনো রাস্তা নেই। কাটাখালি থেকে বাইপাস পুলিশ ফাঁড়ির মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি ভালো থাকলেও সেখান থেকে মাহেন্দ্রা বাজার পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তাটি ভেঙ্গে চুরে রাস্তার ঢালাই উঠে মাটির কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। বাইপাস মোড় থেকে মাহেন্দ্রা

যাওয়ার পথে কিছুদিূর এগোলেই পড়বে রহমান জুট স্পিনার্স (প্রা) লিমিটেড। এখানে কাজ করেন ৫ হাজার মানুষ। ঝুঁকি নিয়ে নিয়েই চলাচল করতে হয় শ্রমিক ও স্থানীয়দের। সবসময় ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় তাদের। রাস্তাটি খারাপ হওয়ার কারণে কোনো ভ্যান বা অটোরিক্সা এবং রিক্সা যেতে চায়না। এই জুট স্পিনার্সটি একটি রপ্তানি কারক প্রতিষ্ঠান। রপ্তানিতে জাতীয় স্বীকৃতিও রয়েছে। আমদানি রপ্তানির কাজে ব্যবহৃত ৫০ টির বেশি ট্রাক প্রতিদিন চলাচল করে। জুট স্পিনার্স থেকে ঝুঁকি নিয়ে এসব ট্রাক চলাচল করে। অনেক সময় পণ্য আনা নেয়ার কাজে ব্যবহৃত ট্রাক আসতে চায়না বলে এখানকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আবার আসতে চাইলেও কয়েকগুণ ভাড়া দাবি করে। সন্ধ্যা নামার আগেই ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে এই রাস্তায়। সামান্য দূরত্বের মধ্যেই আবার রয়েছে বেশ কয়েকটি ইটভাটা। ইট ভাটার জন্য মাটি নিয়ে যাতায়াতকারী বড় বড় ট্রাক ও ট্রাক্টরগুলোর বেপরোয়া চলাচলের

কারণে ও মাটি রাস্তায় পড়ে তা আরো অযোগ্য হয়ে গেছে। ইট ভাটাগুলো প্রভাবশালীদের হওয়ার কারণে কেউ ভয়ে এর প্রতিবাদও করতে পারেনা। স্থানীয় একব্যক্তি নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায়না। যানবাহনতো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়ে। আবার ভাড়াও দিতে হয় কয়েকগুণ বেশি। নিরুপায় হয়ে এভাবেই চলতে হচ্ছে। জুট স্পিনার্স থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের দূরত্বে দুর্গাপুর উপজেলার মাহেন্দ্রা বাজার অবস্থিত। এই বাজারে স্থানীয়রা প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করে থাকেন। রাস্তাটি পাকা থেকে কাঁচার পরিণত হওয়ার কারণে প্রচুর ধুলোবালি উড়ায় কোনো দোকানি তাদের দোকানের দরজা খোলা রাখতে পারেনা। বাজারের দোকানিরা জানান, রাাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে তাদের ব্যবসাও মন্দা। কেউ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাজারে আসতে চায়না। ধুলোর কারণে নতুন জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যায় দ্রæতভ। রাস্তার আশেপাশের বাড়ি-ঘর দেখলে চেনা দায় হয়ে পড়বে কোনটা কী? মাহেন্দ্রা বাজার

থেকে দুর্গাপুর উপজেলার দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। এরমধ্যে মাহেন্দ্রা থেকে আমগাছি বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তার পুরোটিই খারাপ। সেখানে যমুনা কোল্ড স্টোরেজ-২ অবস্থিত। স্থানীয় আলু চাষীদের জন্য এই প্রতিষ্ঠান কাজ করলেও রাস্তার কারণে অনেকটাই ব্যবসা মন্দা। লোকসানের মুখে প্রতিষ্ঠানটি চলছে। এই রাস্তার আশেপাশে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে শত শত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। পাশপাশি রয়েছে বেশ কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। রাস্তার উপরে ব্রীজ রয়েছে কয়েকটি। এ ব্রীজগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। যেকোনো মুহূর্তে ভেঙ্গে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। আমগাছি বাজারের এক স্থানীয় একব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, যদি কাউকে হাসপাতালে যেতে হয় রাতের বেলা তাহলে খুব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কোনো উপায় থাকেনা কোন গাড়ী বা এ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার। আমগাছি থেকে দুর্গাপুর উপজেলা সদর পর্যন্ত পুরো রাস্তাটি খারাপ। যানবাহন চলাচলতো দূরের কথা পায়ে হেঁটেই চলাচল করা কঠিন। স্থানীয়রা দাবি করে বলছেন, রাস্তা মেরামত করার জন্য স্থানীয়

জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হলেও কোন কাজে আসেনি। কেউ কর্ণপাত করে না। রাস্তাটি দ্রবাইত মেরামত করে জনগনের চলাচলের সমস্যা নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করেছেন। বাবু নামের এক অটোরিক্সা চালক বলেন, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে গাড়ীর সমস্যা হয় তাই কোনো চালক আসতে বা যেতে চায়না। ঘুরে মাহিন্দ্রা বাজার যেতে হয় এজন্য একটু বেশি ভাড়া নিতে হয়। সন্ধ্যা নামলে ঝুঁকির জন্য রাস্তা দিয়ে গাড়ী নিয়ে আমরা যায়না। রাস্তাটি মেরামত করার অনুরোধ জানাচ্ছি। তাহলে সবার চলাচলে সুবিধা হবে।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা প্রকৌশলী খলিলুর রহমান বলেন, রাস্তাটি মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়েছিল। দুই ঠিকাদারের মধ্যে মামলার কারণে জটিলতায় আটকে আছে। এটি সমাধান হলে রাস্তাটি সংস্কার শুরু হবে।

এস/আর

 

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST