নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট ছিলনা। মাঝিসহ ১২ জন যাত্রী স্বাভাবিকভাবেই ছিলেন। ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন জীবিত উদ্ধার হলেও বাকি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীসহ বাকি ২ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজের পর ২২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখানো তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজদের খোঁজ পাবার আশায় এখনো স্বজনরা পদ্মা নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছে। তাদের উদ্ধারে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জানায়, শুক্রবার বিকেলে নৌকার মাঝি তাকে
বাদ দিয়ে ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকায় ১২ জন যাত্রী নিয়ে পদ্মায় নৌকা ভ্রমণ করছিল। কিন্ত মাঝিসহ কারো কাছেই লাইফ জ্যাকেট ছিলনা। অথচ বিনোদন ও মাঝ ধরা নৌকাকে লাইফ জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক রয়েছে। কিন্ত কেউ এই নির্দেশনা মানছেনা। লাইফ জ্যাকেট থাকলে তারা বিপদে জীবন বাঁচাতে পারতো। কিন্ত লাইফ জ্যাকেট না থাকার কারণে সেই সুযোগ ছিলনা। অনেকেই সাঁতরিয়ে ও উদ্ধারকারী নৌকার সাহায্যে পাড়ে উঠতে সমর্থ্য হয়। তবে ২ জন ¯্রােতের মধ্যে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়।
সুরক্ষা সামগ্রী না থাকায় রাজশাহী নৌপুলিশ ফাঁড়ির পক্ষ থেকে নৌকার মালিক ও মাঝিসহ ৩ জনকে আসামী করে দামকুড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় সুরক্ষা সামগ্রীর পাশপাশি অবহেলারও অভিযোগ আনা হয়েছে।
রাজশাহী নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মেহেদি মাসুদ বলেন, পদ্মায় নৌকা ভ্রমণে লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক করা হলেও শুক্রবার নৌকার মাঝি যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট না পরিয়েই নৌকা উঠান। তাদের কারো কাছেই লাইফ জ্যাকেট ছিলনা। তাই
পুলিশের পক্ষ নৌকার মালিক ও মাঝিসহ ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাইফ জ্যাকেট পরে নৌকা ভ্রমণের জন্য বার বার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্ত মাঝিরা সেটি মানেনি তাই মামলা দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসের শুরুর দিকে বিয়ে বাড়ির নৌকাডুবিতে নববধূসহ ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছিল। তখনও কারো কাছে লাইফ জ্যাকেট ছিলনা। উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে
রাজশাহীর হাড়ুপুর সংলগ্ন পদ্মা নদীতে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চালাচ্ছিল মাঝি সুমন। একপর্যায়ে নৌকাটি ডুবে যায়। পরে অন্য নৌকা গিয়ে মাঝিসহ ১১ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় মানুষ ও ফায়ার সার্ভিস। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সূচনা ও তার ফুফাতো ভাই রিমন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
এমকে