নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর কেশরহাট ও মুণ্ডমালা পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ ৩০ জানুয়ারী শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয় । বিকেল ৪টা পর্যন্ত একযোগে ভোট গ্রহণ চলবে। এ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহণে মাঠে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি র্যাবও দায়িত্ব পালন করছে । প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালন করছেন । এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়।
মুণ্ডমালা পৌরসভা : মুণ্ডমালা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি ও আ’লীগ ও আ’লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীসহ ৩ জন মেয়র পদে ও ১৩ জন সংরক্ষিত ও ৩২ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ফিরোজ কবির, আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আমির হোসেন আমিন ও আ’লীগে বিদ্রোগী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) জগ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন সদ্য বহিষ্কৃত মুণ্ডমালা পৌর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান।
মুণ্ডমালা পৌরসভায় বিদ্রোহী কোন প্রার্থী না থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন বিএনপি প্রার্থী ফিরোজ কবির। প্রচার-প্রচারণায় তিনি পৌরসভার উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রতি দিয়েছেন। দীর্ঘদিন পর ভোটের লড়াইয়ে নামতে পেরে নেতাকর্মীরাও উচ্ছসিত ছিল। আ’লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় তিনি অনেকটা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এছাড়াও এবার ওই পৌরসভায় জামায়াতের প্রার্থী না থাকায় তিনি জামায়াতের ভোটও পাবেন বলে আশা করছেন। অপরদিকে, আ’লীগের প্রার্থী আমির হোনেন আমিনও নেতাকর্মী নিয়ে প্রচার-প্রচারণা করেছেন। তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। সম্প্রতি তিনি প্রচারে গিয়ে বক্তব্যকালে বলে ফেলেন, মুণ্ডমালা পৌরসভাকে দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে ৩য় শ্রেণী করা হবে। এটি তার প্রত্যাশা। ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার মধ্যে পড়েন তিনি। এরপর থেকে ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। অনেক ব্যবহারকারী উল্লেখ করেন, যে প্রার্থী ২য় ও ৩য় এর পার্থক্য বোঝেননা তিনি কি করে পৌরবাসীর উন্নয়ন করবেন? তার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। তার জয়ের পথ্যে আ’লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান বড় বাধা। কারণ তিনিও আ’লীগের অনেক নেতাকর্মীর ভোট পাবেন। এর ফলে বিএনপি প্রার্থীর জয়ের পথ অনেকটা সুগম হবে। এদিকে, প্রচার-প্রচারণার পুরো সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন।
কেশরহাট পৌরসভা : রাজশাহীর মোহনপুরের কেশরহাট পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি ও আ’লীগ ও জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। মেয়র পদে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে লড়ছেন শহীদুজ্জামান শহীদ, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন প্রভাষক খুশবর রহমান ও জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান আকন্দ জগ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৭৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৬৮১ জন ও নারী ভোটার ৮ হাজার ৯৫ জন। ৯টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ৪টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, সাকোয়া কামিল মাদ্রাসা, হরিদাগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুপইল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ধামিন নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রচার-প্রচারণা ভালো করায় তিন প্রার্থী জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থী বলছেন, সুষ্ঠ ভোট হলে তারা জয় পাবেন।
ভোট গ্রহণের সময় এ পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রে মোট ৭৬ জন নারী ও পুরুষ আনসার সদস্য ও ১৬২ জন নারী-পুরুষ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য দায়িত্ব পালন করছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এস/আর