নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগ রাজশাহী মানগরীতে কোন উন্নয়ন করে নাই। কারণ এই নগরীতে তাদের কোন এমপি বা মন্ত্রী নাই। একমাত্র মেয়র হলেও বিএনপি আমলের পাসকৃত প্রকল্প শুধু তিনি বাস্তবায়ন করেছেন মাত্র। রোববার সন্ধ্যার আগে বোয়লিয়া থানা বিএনপির আয়োজনে নগরীর গনকপাড়া মোড়ে বিএনপি ও ২০দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থীকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রাজশাহী সিটির যত উন্নয়ন তার আমলে হয়েছে। তিনি রেলওয়ে ষ্টেশন, বিভন্ন বড় রাস্তা, নগরায়ন, টিভি সেন্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজশাহী হাসপাতালের শয্যাবৃদ্ধিকরণ সহ নানা প্রকার উন্নয়ন করেন। তাঁকে সহায়তা করেন বিএনপি সরকার। এছাড়াও রাজশাহী সিটি গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি ও এডুকেশন সিটি হিসেবে স্বীকৃতি তাঁর আমলেই পায়। নগরীকে গ্রিন সিটি হিসেবে গড়ে তোলায় তিনি পুরস্কার পান। .বর্তমান মেয়র সেই ধারাকে আরো বেগবান করে নগরীকে আরো সুন্দর করে গড়ে তুলেছেন। এই নগরীতে আওয়ামী লীগ বা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কোন অবদান নাই বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, লিটন রাজশাহীকে বদলিয়ে মাদকের শহরে পরিণত করেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিয়ে কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়েছে। এখন সেই মাদক সম্রাটরাই তাঁকে নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা দিয়ে সহযোগিতা করছে। লিটন মাদকেরে গড ফাদার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে নিশ্চিৎ পরাজয় জেনে আওয়ামী লীগের নেতারা ও মেয়র প্রার্থী ভীত হয়ে ২০ দলীয় নেতাদের বিনা মামলায় বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করছে। সাধারণ ভোটার ও বিএনপি কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। ভয়ভীতি ও গ্রেফতার করে কোন লাভ নেই । বিএনপি গ্রেফতারে ভয় করে না। আর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের তোয়াক্কাও করে না। সাহস থাকলে একঘন্টা আইন শৃংখলা বাহিনীকে বাদ দিয়ে বিএনপি’র সাথে মোকাবেলা করার আহবান জানান তিনি। সাধারণ ভোটার ও ২০ দলীয় জোটের নেতাদের কোন গুজবে কান না দিয়ে এবং কোন কিছুর ভয় না করে নির্বাচনী মাঠে ধানের শীষের প্রচারনা চালানোর নির্দেশ দেন এবং নির্বাচনের দিন বীরের বেশে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ভোটারদের অনুরোধ করেন মিনু। সেইসাথে নেতাকর্মীদের ভোটের দিন নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়ভাবে সব কিছু মোকাবেলা করার আহবান জানান তিনি।
এছাড়াও উপস্থিত বিএনপি নেতৃবৃন্দ সকল প্রকার বাধা অতিক্রম করে ধানের শীষের প্রার্থী মোহাম্মদ মোসদ্দেক হোসেনকে বিজয়ী করতে অনুরোধ করেন। তাঁরা আরো বলেন, সকল নেতাকর্মীর সাথে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবেন এবং মরতে হলে একসাথে মরবেন, বাঁচতে হলে একসাথে বাঁচবেন বলে একাত্বতা ঘোষনা করেন। সেইসাথে বর্তমান সরকারের দুর্নীতির তথ্য তারা জনসমক্ষে তুলে ধরেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বোয়ালিয়া বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা
কর্ণেল অবসরপ্রাপ্ত আব্দুল লতিফ, উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন-অর-রশিদ, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু। অন্যদের মধ্যে মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন ও সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন সহ মহানগর ও জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।