বছর ঘুরে আবার এসেছে সিয়াম-সাধনা ও আত্মশুদ্ধির মাস পবিত্র মাহে রমজান। মাহে রমজানে বিগত বছরগুলোতে ইফতারি পসরা সাজিয়ে বসতেন হোটেল মালিক ও কর্মচারীরা। এবার একেবারেই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। করোনা মহামারি পরিস্থিতি হওয়ায় এবার এসবের প্রতি তেমন আগ্রহ নেই নগরবাসীর। নগরের বিভিন্ন এলাকার হোটেল মালিকরা সীমিত আকারে ইফতারি পসরা সাজালেও ক্রেতার তেমন ভিড় নেই। যেখানে অন্য বছরগুলোতে বিকেলের আগেই ইফতারি কিনতে ক্রেতারা ভিড় জমাতেন। এ বছর ভিড়তো নেই বরং ইফতারের দোকানে ক্রেতার দেখা নেই বললেই চলে। তাই বিক্রেতারাও অলস সময় কাটাচ্ছেন। এমন তথ্য জানিয়েছেন ইফতার সামগ্রী বিক্রেতারা। তবুও যদি কিছু বিক্রি হয় সেই আশায় ক্রেতার অপেক্ষা করে ইফতারি সামগ্রী নিয়ে বসে আছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে দেয়া হয়। তারপর থেকে এ পর্যন্ত বন্ধই রয়েছে। তার মধ্যেই আসে পবিত্র মাহে রমজান। সেই রমজানেও বিক্রেতারা তেমন ব্যবসা করতে পারেননি। কারণ পুরো রমজান জুড়েই লকডাউন ছিল। এবারো প্রথম রমজান থেকেই সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। গত বছরের মতো এবারো প্রথম রমজান থেকে করোনা সংক্রমণ যাতে আর ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
লকডাউনের মধ্যেও জরুরী সেবার কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে শর্ত সাপেক্ষে কিছু খাবার হোটেল খোলার অনুমতি আছে। কিন্ত অন্যান্য বছরের মতো ইফতার সামগ্রী নিয়ে বসলেও ক্রেতা পাচ্ছেন না তারা। বৃহস্পতিবার ২য় রমজান বিকেলে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, কিছু কিছু হোটেলে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্ত ক্রেতা নেই। ক্রেতার সংখ্যা খুব কম। ভিড় নেই।
রহমানিয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারি রিয়াজ বলেন, এবার ইফতারি তেমন বিক্রি হচ্ছে না। তবুও সীমিত পরিসরে ইফতার সামগ্রী বিক্রির জন্য খোলা রাখা হয়েছে। কিছু ক্রেতা ইফতার কিনতে আসছে। ব্যবসার অবস্থা একেবারেই মন্দা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।
এদিকে, অন্যান্য বছরের রমজানের সময় পাড়া-মহল্লায় ভ্রাম্যমাণ ইফতারির দোকান দেখা গেলেও এবার তেমন দেখা যায়নি। ইফতারি কিনতে ক্রেতাদের আগ্রহ নেই। এবার ভাজা-পোড়াসহ মুখ রোচক খাবার বাড়িতে গৃহিনীরাই তৈরি করছেন। যে কারণে তারা এই মহামারির মধ্যে ইফতারি কিনতে বাইরে বের হচ্ছে না।
এস/আর