নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর পবা উপজেলার বারইপাড়া এলাকায় হাসিনা খাতুন (১২) নামের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হাসিনা ওই এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে ও বারইপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। কিছুদিন আগে সে প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষা শেষ করেছে। এ ঘটনায় হাসিনার বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্ণহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। গত শনিবার রাতে বারইপাড়া তার নানার বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার নানার বাড়ি ও বাবার বাড়ি পাশাপাশি। জানা গেছে, স্কুলছাত্রী হাসিনা প্রাথমিক পরীক্ষা শেষ করে তার নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। শনিবার রাতে তার নানা আকবর আলী ও নানি তাকে বাড়িতে রেখে বাইরে গিয়েছিল। এ সময়ের মাঝে দুর্বৃত্তরা তাকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করে।
ধারণা করা হচ্ছে সে ধর্ষণকারীদের চিনে ফেলেছিল। এরপর বাড়িতে ফিরে তারা হাসিনার গলা কাটা লাশ দেখতে পেয়ে কর্ণহার থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। পরে লাশের জানাজা শেষে দাফন করা হয়। এদিকে, ছোট শিশুকে এভাবে নির্মম ভাবে হত্যা করায় এলাকার লোকজনের মাঝে ক্ষোভের পাশপাশি শোক বিহম্বল হয়ে পড়েছেন। পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি, খুনিকে দ্রত গ্রেফতার করে কঠোর দাস্তি দিতে হবে। যাতে কেউ আর এ ধরণের ঘটনা ঘটাতে পারে। সকাল থেকেই ওই শিশুর বাড়ি ও নানার বাড়িতে প্রচুর লোকজন ভিড় জমায়। সবাই এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশের সাথে সাথে দুঃখ প্রকাশ করছেন। তার মা ও বাবা শোকে বিহম্বল হয়ে পড়েছেন। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্ণহার থানার ওসি সেলিম বাদশা জানান, শিশু হাসিনা
তার নানা আকবরের বাড়ি বারইপাড়াতে বেড়াতে গিয়েছিল। তার নানা-নানি শনিবার রাতে শিশুটিকে বাড়িতে রেখে পাশের বাড়িতে যান। এই সুযোগে কে বা কারা আকবর আলীর বাড়িতে ঢুকে শিশুটিকে গলা কেটে হত্যা করে। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তারপর গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। পরে তার নানা-নানি ঘরের মধ্যে গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে থানায় ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
খবর ২৪ ঘণ্টা/এম