রাজশাহী মহানগরীর বাজারগুলোতে মাত্র ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে আমের রাজা স্বুসাধু ন্যাংড়া আম। হাঁক দিয়েও পর্যাপ্ত আম বিক্রি করতে পারছেন না বিক্রেতা। করোনাকালীন পরিস্থিতি হওয়ায় এবার আমের দাম অনেক কম। ল্যাংড়া ছাড়াও অন্যান্য আমও বিক্রি হচ্ছে আরো কম দামে। কম দামে আম বিক্রি হওয়ায় এবার সব শ্রেণীপেশার মানুষ আম কিনে খেতে পারছেন। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার আমে লাভের মুখ তেমন তারা দেখতে পারছেন না। আজ বৃহস্পতিবার নগরের বিভিন্ন বাজারে ন্যাংড়া আম ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা যায়। ১০০ টাকায় ৫ কেজি আম দিলেও ক্রেতা পাচ্ছেন না বিক্রেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফলের রাজা আম, আমের রাজা ল্যাংড়া। গত তিন বছরে ল্যাংড়ার দাম ছিল ৪৫-৫৫ টাকা কেজি পর্যন্ত। কিন্ত এবার সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। ২০ টাকায় নেমে এসেছে কেজিতে। খুচরা পাইকারি বিক্রেতারা বলেন, আমের মৌসুমের প্রথমেই যদি বাগানটা বিক্রি করতাম, তবে কিছু হলেও পুঁজি থাকতো। বিপাকে পড়েই কেজি দরে আম বিক্রি করতে হচ্ছে। বাগানে খরচ করার টাকাগুলো উঠানো তো দূরের কথা, যাতায়াত খরচ উঠবে কি-না সন্দেহ। গত বছর ৪৫ কেজিতে মণ ধরে ল্যাংড়া বিক্রি করেছি সর্বনি¤œ ৪৩-৪৫ টাকা কেজি দরে। কিন্তু এবার এই আমের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। ল্যাংড়া ৫০ কেজিতে মণ ধরে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
অন্য এক বিক্রেতা বলেন, এ বছর বাগান ক্রয়-বিক্রয়ে তেমন সাড়া না পেয়ে বুধবার (২৩ জুন) আমার বাগানের ল্যাংড়া আম মাত্র ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। শুধু তাই নয়, আড়তগুলো এবার ৫০ কেজিতে মণ ধরে আম কেনায় এবং হাটের খাজনা ও ভ্যানভাড়া ধরে কিছুই থাকলো না। আর বাগান পরিচর্যা খরচ তো লোকসান রয়েছেই।
এদিকে, বাজারগুলোতে ক্ষিরসাপাত (হিমসাগর) আমের মণ ১৫০০-১৫৫০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে আমটির কেজি মাত্র ৩০ টাকা। আম্রপালির মণ ২০০০-২১০০ টাকা, খুচরা বাজারে কেজি প্রায় ৪০ টাকা। লখনার (লক্ষণভোগ) মণ ৯০০-১০০০ টাকা, খুচরা বাজারে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৮ টাকায়। বোম্বাই আমের মণ ১১০০ টাকা, বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকা কেজি দরে। ফজলির মণও ১১০০-১২০০ টাকা, খুচরা বাজারে কেজি ২০-২৫ টাকায় দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর ছাড়াও আশেপাশের বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে আম খুব কম দরে। কম দামে আম বিক্রি হওয়ায় সবাই তা কিনছেন। ক্রেতারা বলছেন, এবার দাম কম হওয়ায় আম কিনতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। নগরের সাহেব বাজার এলাকার বিক্রেতারা বৃহস্পতিবার মাত্র ২০ টাকা কেজিতে ন্যাংড়া আম বিক্রি করেন। তাও তেমন ক্রেতা দেখতে পাওয়া যায়নি। শুধু সাহেব বাজার নয় নগরের অন্যান্য বাজারগুলোতেও একই অবস্থা।
এস/আর