নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৫ দফা দাবিতে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে তেল উত্তোলন, বিপনন ও পরিবহন বন্ধ রেখে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি চলছে। গত রোববার ভোর সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি সোমবার পর্যন্ত চলছে। পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকায় তেল নিতে এসে ঘুরে যাচ্ছেন চালকরা। অনেকে তেল না পেয়ে হতাশ হয়ে ঘুরে যাচ্ছেন। তবে যেসব চালক আগেই কর্মবিরতির কথা জানতেন তারা অগ্রিম কিছু তেল নিয়েছিলেন। তবে বেশিরভাগ চালকই তেল নিতে এসে ঘুরে যাচ্ছেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। গত
ভোর ৬টার পর থেকেই রাজশাহী মহানগর ও জেলার আশেপাশের পেট্রোল পাম্পগুলো বন্ধ হয়ে যায়। আর প্রতিশ্রুতি নয়, দাবি বাস্তবায়ন চাই স্লোগানে এ কর্মবিরতি চলছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, জ¦ালানী তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন শতকার ৭.৫ ভাগ করা, জ¦ালানী তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তা নির্দিষ্ট করা, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরী শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রণয়ন, ট্যাংকলরী ভাড়া বৃদ্ধি, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স বাতিল, পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার
নিয়োগের বিধান বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ৫ বছর পর পর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ট্যাংকলরী চলাচলে পুলিশি হয়রানী বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতিত অন্যান্য দপ্তর কর্তৃক হয়রানী বন্ধ, নতুন পেট্রোল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় জ¦ালানী তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পেট্রোল পাম্পের পাশে যেকোন স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা ও ট্যাংকলরী থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করা।
আর/এস