রাজশাহী মহানগর ও জেলায় ১৪ মাসে ২১৯ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ২০২০ সালের ২১ ফেব্রæয়ারী থেকে ২১ সালের ফেব্রয়ারী পর্যন্ত এ নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়। লফস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থাটি জানায়, সম্প্রতি গবেষনায় উঠে এসেছে প্রায় ৭২.৬% শতাংশ নারী জীবনে একবার হলেও স্বামীর হাতে কোনো না সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকারদের ৮৬% শিশু-কিশোর। ধর্ষণজনিত হত্যার শিকার হয়েছে প্রায় দুই-তৃতীয় শিশু-কিশোর। যাত্রাপথে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে পুরুষের তুলনায় নারীদে আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি। এদের বয়স ১৪-৩০ এর মধ্যে। রাজশাহী অঞ্চলে আত্বহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের মতো ঘৃণিত অপরাধ ঘটছে অহরহ যা প্রতিরোধের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। একই ভাবে যৌতুক ও
বাল্যবিবাহ’র ফলে নারীরা প্রতি নিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে এর ফলে সংসারে ভাঙ্গন দেখা দিচ্ছে, আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে পরকীয়া প্রেম নারীর জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলছে, বর্তমান সোসাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীদের মধ্যে পরকীয়া প্রবনতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নারীর পাশাপাশি পুরুষদের এগিয়ে আসতে হবে তাদেও মন-মানসিকতা পরিকর্তস ঘটাতে হবে, পশ্চাদপদ ধ্যান-ধারনা বদলিয়ে নারীকে নিয়ে একসাথে এগিয়ে যেতে হবে।
২১৯ জনের মধ্যে ২৪ জন হত্যা, আত্মহত্যা ৪৯ জন, আত্মহত্যার চেষ্টা নারী ৯ জন,
ধর্ষণের পর হত্যা ২ জন, ধর্ষণ ৩৫ জন, ধর্ষণ চেষ্টা ৬ জন, যৌন নির্যাতন নারী ১৩ জন, নির্যাতনের শিকার ৫৯ জন, ভিকটিম অফ পর্নোগ্রাফি নারী ৭ জন, নিখোঁজ ৮ জন, অপহরণ ৪ জন ও এসিড হামলার শিকার ৩ জন। আরো বলা হয়, প্রকাশ না হওয়া আরো ঘটনা রয়েছে। যা পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে।
এস/আর