নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পুঠিয়ার বেলপুকুরে সোহেল রানা (৩৫) নামের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ব্যক্তি বেলপুকুর থানার মাহেন্দ্রা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহানের ছেলে ও দোমাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। গত শুক্রবার ২৯ জানুয়ারী বিকেলে মাহেন্দ্রা হাটে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সোহেল রানাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজশাহী মহানগরীর সিডিএম হাসপাতালে আইশোলেশনে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পরে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে
নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান বাদী হয়ে বেলপুকুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার এজাহার নামীয় আসামী মাহেন্দ্রা হাটপাড়া গ্রামের ভাদু মন্ডলের ছেলে মাজেদুল ইসলাম (৩৮) কে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের চাচা মিজানুর রহামন জানান, মাহেন্দ্রা হাটে তার চাচা মৃত মেছের মোল্লার কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান জায়গাটি কিনে প্রায় ৪৫ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন। বর্তমানে সেখানে একটি দোকান ঘর করে ভাড়া নেয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহানের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে তাইজুল ইসলাম। কিছু দিন
তাইজুল ইসলাম সেই ঘরের ভাড়া ঠিকঠাক পরিশোধ করে। পরে এই জমিতে তাদের অংশ রয়েছে মর্মে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। বেশ কয়েক বার মিমাংসা চেষ্টা করে তা ব্যর্থ হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকতো। পরে জমিটি অংশ মোতাবেক সোহেল রানাকে দিয়ে দেওয়া হয়। ২৯ জানুয়ারী জমিটি মাপার সময় তাইজুল ইসলামের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা সোহেল রানাকে লোহার রড ও বাঁশে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে সোহেলা রানা গুরুতর আহত হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল রানা মারা যায়। লামের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আরএমপির বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, মারধরে একজন নিহতের ঘটনায় থানায় ৯ জনকে আসামী ও অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী নিহতের বাবা। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
এস/আর