নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরসহ আশেপাশের উপজেলায় দিনভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে সাধারণ খেটে খাওয়া ও অফিস আদালতগামী মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা বিপাকের মধ্যে পড়েন। মঙ্গলভার ভোর থেকে শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ঘূর্ণিঝড় ও সমুদ্র উপকুলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত সোমবার সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সোমবার সকাল থেকে সারাদিন সূর্যের দেখা না পাওয়ায় ও বাতাস হওয়ায় ঠা-া বেড়ে যায়। ভোর থেকেই রাজশাহী মহানগর, আশেপাশের জেলা ও উপজেলায় নামে বিরতিহীনভাবে বৃষ্টি। বৃষ্টির সাথে হালকা বাতাস ছিল। বাতাসে শীতের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। সোমবারের মতো মঙ্গলবারেও সূর্যের দেখা মেলেনি। বৃষ্টিতে সকালে স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রী ও অফিস-আদালতগামী মানুষ বিপাকের মধ্যে
পড়েন। সবচাইতে বেশি বিপাকের মধ্যে পড়েন খেটে খাওয়া মানুষ। বৃষ্টির কারণে তারা কাজের জন্য বাইরে যেতে পারেনি। রিক্সাচালকরা রিক্সা নিয়েও বাইরে বের হতে পারেনি। আবার যারা বের হয়েছেন তারা বৃষ্টিতে ভিজে যান। আবার অনেকে বৃষ্টি উপক্ষো করে কাজের সন্ধানে বাইরে বের হন। কাজ না করতে পারলে পরিবারের সদস্যদের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দিতে পারবে না। এদিকে, বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা বাতাসে শীতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় গরম পোশাকের দোকানে ভিড় জমায় মানুষ। তবে বৃষ্টির কারণে ফুটপাতের দোকনগুলো তেমন খোলা ছিল না। মার্কেটগুলোতে বিত্তবান মানুষজন শীতের পোশাক কিনতে ভিড় জমায়। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার রাত থেকে ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা
ছিল ৯৮ শতাংশ ও সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পরিমাণ ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরো দু’একদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এ বৃষ্টি হচ্ছে। এটা ঠিক হয়ে যাবে। এরপর কনকনে ঠান্ডা পড়বে।
খবর ২৪ ঘন্টা/এমকে