ঢাকারবিবার , ১১ জুলাই ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজশাহীতে লকডাউনের ১ মাস, বাড়ছে চলাচল, কমেনি সংক্রমণ

khobor
জুলাই ১১, ২০২১ ৮:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজশাহী মহানগরীতে সর্বাত্মক লকডাউনের ১ মাস পূর্ণ হয়েছে। জুন মাসে হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় ১১ জুন থেকে প্রথম দফায় ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায়। তারপর থেকে সংক্রমণের হার না কমায় দফায় দফায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরমাঝেই পুরো দেশে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয় পহেলা জুলাই থেকে। ১১ জুলাই রাজশাহী মহানগরীতে লকডাউনের ১ মাস পূর্ণ হয়েছে। গত ১ মাস ধরে কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যে থাকা শিক্ষানগরী রাজশাহীতে

লকডাউনের ১ মাস পূর্ণ হলেও কমেনি সংক্রমণের হার। প্রতিদিন করোনা ভাইরাস শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সীমান্ত ঘেঁষা জেলা রাজশাহীতে ১৯১ জনের মৃত্যু ও শনাক্ত হয়েছে ২০ হাজার জন। জুন মাস থেকেই প্রতিদিন শনাক্তে ও মৃত্যুতে ব্যাপক রেকর্ড হয়েছে। মহানগরের বাইরে তুলনামূলক করোনা সংক্রমণের হার অনেক কম। তবে নগরের মধ্যেই করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি।
এদিকে, কঠোর লকডাউনের মধ্যেও রাজশাহী মহানগরীতে মানুষ ও অভ্যন্তরীণ যানবাহন চলাচল ছিল অন্যান্য দিনে চোখে পড়ার মতো। অটোরিক্সা ও রিক্সা এবং সিএনজি চলাচল ছিল বেশি। বাইরে থেকেও বিপুল পরিমাণ মানুষ নগরে প্রবেশ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও অন্য দিনের তুলনায় তেমন কড়াকড়ি করতে

দেখা যায়নি। রোববার সকাল থেকেই আনাগোনা বাড়তে থাকে। এছাড়াও নগরের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকতে দেখা যায়। আবার একদিন সার্টার খুলে ব্যবসা করতে দেখা গেছে। বিকেলে নগরে আরো বেশি যানবাহন চলাচল করেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ জনের উপর করোনা ভাইরাসে চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। আবার বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলায় করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি।
এছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের যেসব দোকান খোলা রয়েছে সেসব দোকানের বিক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশই মাস্কবিহীন থাকছে। ক্রেতাদের মধ্যেও অনেকে মাস্ক ছাড়া বাজারে চলে যাচ্ছে। কারো কারো মাস্ক থাকলেও থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখতে দেখা গেছে। সংক্রমণের উচ্চ হার থাকার পরেও অনেক মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, রাজশাহী জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ হাজার ১৬ জনের। শনাক্তের বেশির ভাগ রাজশাহী মহানগর এলাকায় ১৬ হাজার ১০২ জন। বাঘা উপজেলায় ৪৭৪ জন, চারঘাট উপজেলায় ৫৫৫ জন, পুঠিয়া উপজেলায় ৫০৬ জন, দুর্গাপুর উপজেলায় ৪২০ জন, বাগমারা উপজেলায় ৩৯৩ জন, মোহনপুর উপজেলায় ৩১৯ জন, তানোর উপজেলায় ৩৬০ জন, পবা উপজেলায় ৫০৮ জন ও গোদাগাড়ীতে ৩৭৯ জন। রাজশাহী জেলায় শনাক্তের হার ১৭ শতাংশ। রাজশাহী জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ১২ এপিল ও নগরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১৫ মে। জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৯১ জনের।

এস/আর

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।