নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীতে রাস্তা থেকে আবর্জনা তুলে ফেলতে বলায় মারধরে লিটন নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত লিটন নগরীর মিরের চক এলাকার মৃত আব্দুল কাদেররের ছেলে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরমধ্যে গত মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো, নগরীর মীরের চক এলাকার মুজাহিদের স্ত্রী শিল্পী (৫০), মইনুলের স্ত্রী রিকতা (৩৫) ও মৃত আজিজুলের ছেলে মাহমুদ (৪৫)। গতকাল মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে তাদের আটক করা হয়। অন্য আসামীরা রাত থেকেই পলাতক রয়েছে। অন্য আসামীরা হলো, হাসিনা, বাবু, মনোয়ার, ময়নুল, মঞ্জুর ও সোমা।
জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর মীরের চক এলাকার মাহমুদের বউ সোমা তার বাড়ির পাশে রাস্তার সামনে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রেখেছিল। রাস্তায় ময়লা দেখতে পেয়ে গত ১৭ সেপ্টেমবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লিটন রাস্তায় ময়লা না ফেলার জন্য মাহমুদের স্ত্রী সোমাকে বলে। ময়লা ফেলতে বারণ করায় সোমা ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্বামীসহ অন্য স্বজনদের ডেকে বাক-বিত-া শুরু করে। একপর্যায়ে তারা সবাই মিলে তাকে মারধর করে। এতে লিটন আহত হয়। তার শরীর রক্তা হয়ে যায়। কিন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। এদিকে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বুধবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে, ওই রাতেই পুলিশ মিরের চক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। পলাতক থাকায় বাকিদের আটক করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি আমান উল্লাহ বলেন, নয় জনকে আসামী করে থানায় মামলা করা হয়েছে। তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে