রাজশাহীর চারঘাটে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের এএসআইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইউসুফপুর বিওপির সামনে থেকে ইউসুফপুর ক্যাম্পের বিজিবি’র টহল দল তাকে গ্রেপ্তার করে চারঘাট থানায় সোপর্দ করে। গ্রেপ্তারকৃত এএসআইয়ের নাম পাঞ্জাব আলী। তিনি বর্তমানে রাজশাহী জেলার কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত আছেন বলে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে। ইউসুফপুর বিওপির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার জয়নাল আবেদীন জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি টহল দল অভিযান চালিয়ে ইউসুফপুর বিওপির সামনে এএসআই পাঞ্জাব
মোটরসাইকেল যোগে রাজশাহী যাওয়ার পথে তার মোটরসাইকেলটিতে তল্লাশি চালিয়ে ব্যাগে রাখা ৪০০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করে চারঘাট মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়। এ ব্যাপারে ইউসুফপুর বিওপি নায়েক শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে চারঘাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য যে, এএসআই পাঞ্জাব ইতিপূর্বে চারঘাট মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘদিন যাবত মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। সেই সুবাধে এলাকার সকল মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তুলে তিনি বিপুল
পরিমান অবৈধ অর্থের মালিক বনে গেছেন বলেও জানা যায়। রাজশাহী জেলা ও মহানগর পুলিশের একাধিক কর্মকর্ত বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত সাথে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এইসব বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর ঢাকায় একাধিক গোয়েন্দা রির্পোটে পাঠানো হলেও এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত। যার ফলে এরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ভাবমূর্তী ও সুনাম বজায় রাখতে এই ধরনের পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত পূর্বক প্রমানিত হলে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া একান্ত প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে চারঘাট থেকে রাজশাহী কাঁকনহাট যাওয়ার পথে ইউসুফপুর বিওপির সামনে থেকে বিজিবি টহল দল মোটরসাইকেলসহ এএসআই পাঞ্জাবকে গ্রেপ্তার করে এবং বিজ্ঞআদালতের মাধ্যমে মাদক মামলায় বুধবার সকালে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে রাজশাহী পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) এর সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
জেএন