নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীতে মাদক মামলার আসামি ধরতে গিয়ে এএসআইসহ দুই পুলিশ সদস্য হামলার শিকার হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা পৌনে ২টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার দুই পুলিশ সদস্য হলেন, চন্দ্রিমা থানার এএসআই আবদুল সবুর (৩১) ও কনস্টেবল শাহানুর আলম (৩২)। সবুর হাতে ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন, আর শাহানুরের গাল কেটে গেছে। দু’জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হবে। একটি ২০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের ও অপরটি সরকারী কাজে বাধা দান ও পুলিশকে মারধরের। ওই সময় মতিন (২৬) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি নগরের চন্দ্রিমা থানার ললিতাহার এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে নগরীর খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীরা অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে চন্দ্রিমা থানা-পুলিশের একটি দল বাইপাস এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে যায়। অভিযানের সময় ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে আগে এএসআই সবুর ও কনস্টেবল শাহানুর প্রবেশ করেন। এ সময় ৫/৬ জন পুলিশের ওপর লাঠি নিয়ে হামলা চালান। একপর্যায়ে পুলিশের অন্য সদস্য সেখানে পৌঁছালে তাঁরা পালিয়ে যান। তবে পুলিশ মাদক মামলার আসামি মতিনকে আটক করেছে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির
একপর্যায়ে ঘরের দেয়ালে লেগে মতিনের মাথা ফেটে যায়। তাঁকেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সিরাজুম মনির বলেন, মাদক কারবারীদের হামলায় এএসআই ও এক কন্সটেবল আহত হয়েছে। মাদক মামলার আসামি মতিনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে। তাঁর কাছ থেকে ২০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হবে। এই মামলায় বাকি আসামিদেরও দ্রত আটক করা হবে।
আর/এস